ব্রোকার হাউসে অর্থ ও শেয়ারের ঘাটতি হলে আইপিও স্থগিত

0
8

সিনিয়র রিপোর্টার : শেয়ারবাজারের যেসব ব্রোকারেজ হাউসে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ও শেয়ারের ঘাটতি রয়েছে, সেসব ব্রোকারেজ হাউসের আইপিও বা প্রাথমিক গণপ্রস্তাব–সুবিধা স্থগিত করা হয়েছে। শুধু আইপিও নয়, পুনঃ গণপ্রস্তাব ও এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানির আইপিওর ক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারী হিসেবে প্রাপ্য কোটা–সুবিধাও স্থগিত থাকবে।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্প্রতি এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্রোকারেজ হাউসগুলোর জন্য আরও বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ও শেয়ার আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা হলেও আস্থার সংকট তৈরি করেছে। অনেক বিনিয়োগকারী অর্থ ও শেয়ার হারিয়ে তা উদ্ধারে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেসব ব্রোকারেজ হাউসের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে (সিসিএ) অর্থ ও গ্রাহকের সিকিউরিটিজে ঘাটতি থাকবে, সেসব ব্রোকারেজ হাউসের ক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জের লভ্যাংশপ্রাপ্তিও স্থগিত থাকবে। পাশাপাশি এসব ব্রোকারেজ হাউস নতুন কোনো শাখা বা ডিজিটাল বুথ খুলতে পারবে না।

এ ছাড়া ব্রোকারেজ হাউসগুলোর ফ্রি লিমিট–সুবিধা, ডিপোজিটরি ও ট্রেক কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধন সনদও স্থগিত থাকবে। যেসব ব্রোকারেজ হাউস বিনিয়োগকারীর অর্থ ও শেয়ারের ঘাটতি সমন্বয় করবে, সেসব ব্রোকারেজ হাউসের ওপর ন্যূনতম এক বছর বিশেষ তদারকি চালাবে সংশ্লিষ্ট স্টক এক্সচেঞ্জ। সেই সঙ্গে প্রতি দুই মাস পরপর সমন্বিত গ্রাহক হিসাব রক্ষিত অর্থ ও ডিপি হিসাবে রাখা সিকিউরিটিজ পরীক্ষা করবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here