সিনিয়র রিপোর্টার : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড শেয়ার ইস্যু করে পরিশোধিত মূলধন বাড়াবে। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের বিনিয়োগকারীদের জন্য আড়াই শতাংশ নগদ ও আড়াই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
আড়াই শতাংশ বা ৩৭ লাখ ৫৭ হাজার ২৩১টি সাধারণ শেয়ার বাজারে নতুন করে ইস্যু করবে কোম্পানিটি।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রতিষ্ঠানটির সিদ্ধান্তের অনুমোদন দিয়েছে। মূলধন বাড়াতে আড়াই শতাংশ বোনাস শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব বিএসইসিতে জমা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। বিএসইসি প্রতিষ্ঠানটির এই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
এর ফলে ১৫০ কোটি ২৮ লাখ ৯২ হাজার ৪২০ টাকার পরিশোধিত মূলধন বেড়ে ১৫৪ কোটি ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৭৩০ টাকায় উন্নীত হবে। কোম্পানিটি ৩৭ লাখ ৫৭ হাজার ২৩১টি সাধারণ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে বাজার থেকে টাকা উত্তোলন করবে। প্রতিটির শেয়ারের অভিহিত মূল্য হবে ১০ টাকা। এ লভ্যাংশ নির্ধারণের জন্য রেকর্ড ডেট ধরা হয়েছে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি।
১৯০ কোটি টাকার অনুমোদিত মূলধনের কোম্পানিটি ২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে কোম্পানির রিজার্ভ রয়েছে ৮৭ কোটি ৭ লাখ টাকা।
চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন মতে, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৩ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৫৮ পয়সা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৩৩ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৩০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১৫ টাকা ৫ পয়সায়।
১৫ কোটি ২ লাখ ৮৯ হাজার ২৪২টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৫১ দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২০ দশমিক ৩৫, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৩ দশমিক শূন্য ৭ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ১৫ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।