সকল মেনু

কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কী

কমোডিটি এক্সচেঞ্জ হচ্ছে পণ্য বেচাকেনায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ যেখানে ক্রেতা-বিক্রেতারা ওই প্রতিষ্ঠানের নিয়মপদ্ধতি অনুসরণ করে নিজেদের মধ্যে বিপণন চুক্তিতে আবদ্ধ হয়।

যেমন-একজন ভুট্টাচাষি তার ভুট্টা মাঠ থেকে উত্তোলনের এক মাস আগেই কমোডিটি এক্সেচেঞ্জের মাধ্যমে তার শস্যের দাম ঠিক করতে এবং বিক্রি নিশ্চিত করতে পারবেন। পরে তিনি এক্সেচেঞ্জের মধ্যস্থতায় পণ্যের দাম বুঝে পাবেন। আর ক্রেতা বুঝে পাবেন পণ্য।

আবার ধরা যাক, একজন কৃষক ছয় মাস পর বিক্রির জন্য এক মণ তুলা আনলেন। কমোডিটি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে সেটার দাম নির্ধারিত হলো- কোনো একজন ক্রেতা পেলেন সেই পণ্যের চুক্তি। অন্যদিকে, ওই তুলা থাকল কৃষকের গুদামে। ছয় মাস সময় পূর্ণ হওয়ার পর যার কাছে থাকবে ওই তুলার ক্রয়াদেশ, তিনি তা পেয়ে যাবেন। বর্তমানে বিভিন্ন দেশে চালু এমন এক্সচেঞ্জে পণ্য কেনাবেচা হয় ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে, সিএসইতেও তাই হবে।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ চলতি বছরেই তিন পণ্য নিয়ে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করতে যাচ্ছে। দেশে প্রথম চিত্তাকর্ষক এমন ‘ফিউচার মার্কেট’ চলতি বছরের নভেম্বর মাসে চালু করার আভাস মিলেছে।

‘ফিউচার মার্কেট’ বা কমোডিটি এক্সচেঞ্জ দেশের প্রথম পণ্য বিপণনের এক্সচেঞ্জ। দেশীয় ধারার বাজার প্রচলনের বাইরে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই বাজার। শুরুতেই গম, তুলা ও সোনা কেনাবেচা করা হবে।

সরকারের সবুজ সংকেতের পর এবং পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন আগেই বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) ঢাকার র‌্যাডিসন ব্লু হোটেলে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করতে পরামর্শক হিসেবে ভারতের মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জের (এমসিএক্স) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সিএসই।

সিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম ফারুক ও এমসিএক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিএস রেড্ডি চুক্তিতে সই করেন।

চলতি বছর নভেম্বরের মধ্যে দেশে ‘ফিউচার মার্কেট’ চালু করতে কাজ শুরু করেছে দেশের দ্বিতীয় স্টক এক্সচেঞ্জ সিএসই।
অনুষ্ঠানে সিএসই’র চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম বলেন, চলতি বছরের নভেম্বরের দিকে আমরা শুরু করতে যাচ্ছি। চূড়ান্ত অনুমোদন আমাদের আছে। এখন সফটওয়্যার, অন্যান্য অবকাঠামো এবং নীতি পদ্ধতি নির্ধারণের জন্য এ সময়টুকু লাগবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে তিনটা পণ্য নিয়ে আমরা এগোব। কাঁচামাল হিসেবে আমদানি করা তুলাকে পণ্য হিসেবে যুক্ত করব। খাদ্যপণ্য হিসেবে গম ও বুলিয়ানের মধ্যে হয়তো সোনাকে প্রাথমিক পণ্য হিসেবে রাখা হবে।

এমসিএক্স পরামর্শক হিসেবে পাঁচ বছরের জন্য কাজ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা শতভাগ সিএসই’র মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় চলবে। আমরা যেই নিয়ম পদ্ধতিগুলো ঠিক করব, সেগুলো বিএসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বিভিন্ন সরকারি এজেন্সির সঙ্গে বসে ঠিক করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top