সকল মেনু

আল-আরাফাহ, এবি ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিনটি ব্যাংক মঙ্গলবার লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ব্যাংকগুলো হলো- আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, এবি ব্যাংক লিমিটেড ও ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।

এদিকে, ব্যাংক সিটি ব্যাংক লিমিটেডকে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করার অনুমতি দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ড ছেড়ে ব্যাংকটি ৭০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে।

আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড : সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (EPS) হয়েছে ১ টাকা ৯৬ পয়সা। আগের বছর ব্যাংকটির  ইপিএস ছিল ২ টাকা ৪১ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২২ টাকা ৭৩ পয়সা।
আগামী ১১ আগষ্ট ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ জুন।

এবি ব্যাংক লিমিটেড : আলোচিত বছরের জন্য ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এর ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, বাকী ৩ শতাংশ বোনাস।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, আলোচিত বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ৮৬ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস ছিল ৪৭ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩০ টাকা ৫৯ পয়সা।

আগামী ৬ জুলাই হাইব্রিড পদ্ধতিতে ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ মে।

ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড : আলোচিত বছরের জন্য ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে। আলোচিত বছরে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (EPS) হয়েছে  টাকা  পয়সা। আগের বছর ব্যাংকটির  ইপিএস ছিল  টাকা  পয়সা।

আগামী ২১ জুন ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ মে।

এদিকে, সিটি ব্যাংক লিমিটেডকে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করার অনুমতি দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ড ছেড়ে ব্যাংকটি ৭০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে।

সূত্র অনুসারে, আলোচিত বন্ডটি হবে একটি মেয়াদী বন্ড। এর মেয়াদ হবে ৮ বছর। এরপর বন্ডটির সম্পূর্ণ অবসায়ন হবে। এই বন্ডটির অন্য বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে-এটি সাধারণ শেয়ারে রূপান্তর-অযোগ্য (N0n-Convertible), জামানতবিহীন (Unsecured), সম্পূর্ণ অবসায়নযোগ্য (Fully redeemable), ফ্লোটিং রেট সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড।

বন্ডের মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যাংকটির টিয়ার-২ মূলধন ভিত্তিকে শক্তিশালী করবে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তি ও আইন অনুসারে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্লেসমেন্টে এই বন্ডের ইউনিট বরাদ্দ করা হবে। এর প্রতি ইউনিট বা লটের মূল্য হবে এক কোটি টাকা।

আলোচিত বন্ডের অ্যারেঞ্জার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড।আর ট্রাস্টির দায়িত্বে থাকবে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top