Homeঅর্থনীতিশৃঙ্খলা ও সুশাসন নিশ্চিতে সহযোগী কোম্পানি থেকে সরছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানরা

শৃঙ্খলা ও সুশাসন নিশ্চিতে সহযোগী কোম্পানি থেকে সরছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানরা

সিনিয়র রিপোর্টার : এখন থেকে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) পরিচালনা পর্ষদ ও সহায়ক কমিটির চেয়ারম্যানরাও আর সহযোগী কোম্পানিতে যুক্ত হতে পারবেন না।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় ‘অধিকতর শৃঙ্খলা’ ও ‘সুশাসন নিশ্চিতে’ এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার পরিপত্র জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগের দিন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বেলাতেও একইরকম বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে অনুমোদিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৬। অবসায়নের পথে যেতে থাকা পিপিলস লিজিং আদালতের নির্দেশে এখন পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তালিকাভুক্ত হওয়ায় পুঁজিবাজারে শেয়ার লেনদেন বন্ধ রয়েছে কোম্পানিটির।

এনবিএফআইগুলোতে গত ডিসেম্বর শেষে আমানতের পরিমাণ ছিল ৪২ হাজার ৫০০ কোটি টাকায়। একই সময়ে বিতরণ করা ঋণের স্থিতি হচ্ছে ৬৭ হাজার ১৬১ কোটি টাকা।

নতুন নির্দেশনার ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কিংবা সহায়ক কমিটির চেয়ারম্যানরা ওই প্রতিষ্ঠানের সহযোগী বা অর্থায়ন করা কোনো কোম্পানির পরিচালনায় সম্পৃক্ত হতে পারবেন না। এমনকি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিচালিত বা অর্থায়ন করা ফাউন্ডেশনের পরিচালনায়ও সম্পৃক্ত হতে পারবেন না তারা।

বর্তমানে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের নিয়ে তিনটি কমিটি গঠনের অনুমোদন রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। এগুলো হলো- নির্বাহী কমিটি, অডিট কমিটি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিপত্রে বলা হয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোনো কমিটির চেয়ারম্যান দুই দায়িত্বে থাকলে তাকে ৩০ জুনের মধ্যে সহযোগী প্রতিষ্ঠান থেকে পদত্যাগ করতে হবে। বিষয়টি পরের মাসের ৭ কার্য দিবসের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হবে।

একই সঙ্গে এখন থেকে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের পরে ওই প্রতিষ্ঠানের কোনো পদে সরাসরি বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যাবে না বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশনা দিয়েছে।

কোনো প্রতিষ্ঠানে এমন কেউ থাকলে তাকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টি পরের মাসের ৭ কর্মদিবসের বাংলাদেশ ব্যাংকে জানাতে হবে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর ২৫(৩) ধারায় কোনো ব্যক্তির একই সময়ে একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা একাধিক ব্যাংক কিংবা বীমা কোম্পানির পরিচালক থাকবেন না বলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সাত দিনের সর্বাধিক পঠিত