সকল মেনু

পিকে হালদার গ্রেফতারের পর চাঙ্গা দুই কোম্পানির শেয়ারদর

স্টাফ রিপোর্টার : গত শনিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগর থেকে গ্রেফতার হন দেশের আর্থিক খাতের অন্যতম লুণ্ঠনকারী প্রশান্ত কুমার হালদার, যিনি পিকে হালদার নামেই বেশি পরিচিত। ভারতের অর্থসংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারের পর এরই মধ্যে তিনি দেশে আসার ব্যাকুলতা প্রকাশ করেছেন। সোমবার দেশের পুঁজিবাজারে পিকে হালদারের দখল করা দুই কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (আইএলএফএসএল) ও এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ারদরে বেশ চাঙ্গা ভাব লক্ষ করা গিয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সোমবার পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হলেও ব্যতিক্রম ছিল আইএলএফএসএলের শেয়ার। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বেড়ে ৬ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এতে দর বৃদ্ধির তালিকার শীর্ষ পাঁচে উঠে আসে কোম্পানিটির শেয়ার।

গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১১ টাকা। এর পর থেকে ক্রমেই দর হারাতে থাকে কোম্পানিটির শেয়ার। সোমবার ডিএসইতে কোম্পানিটির ৯ লাখ ৪৫ হাজার ৮৮৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর আগে গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির ১ কোটি ৩৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮৩টি শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

আইএলএফএসএলের ২০২০ সালের আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, কোম্পানিটির ৮ শতাংশ করে শেয়ার রয়েছে নেচার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, বিআর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও নিউ টেক এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের কাছে। এ তিন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই পিকে হালদারের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এর বাইরে আইএলএফএসএলের ২৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক ও ৩৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

এফএএস ফাইন্যান্সের শেয়ার গতকাল একদিনেই ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়েছে। এদিন ডিএসইতে দর বৃদ্ধির তালিকার শীর্ষ কোম্পানি ছিল এটি। গত দুই বছরের মধ্যে ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার সর্বোচ্চ ১১ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। এর পর থেকেই কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল নিম্নমুখী।

সোমবার ডিএসইতে এফএএস ফাইন্যান্সের ৪১ লাখ ৪ হাজার ৬৩০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর আগে গত দুই বছরের মধ্যে ২০২১ সালের ৭ জুলাই কোম্পানিটির সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ৩৩ লাখ ৮২ হাজার ৩৩টি শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

গত বছরের নভেম্বর মাসের শেয়ার ধারণ প্রতিবেদন অনুসারে, এফএএস ফাইন্যান্সের ৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ শেয়ার রেপটাইল ফার্ম লিমিটেড ও ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে পি অ্যান্ড এল ইন্টারন্যাশনালের কাছে। এ দুই প্রতিষ্ঠানই পিকে হালদারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট। এর বাইরে কোম্পানিটির ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক ও ৭৬ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই পিকে হালদারের লুট করা কোম্পানিগুলোর শেয়ারদরে ধস নামায় বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ অবস্থায় পিকে হালদার গ্রেফতার হওয়ার কারণে বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন লুণ্ঠন করা অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হবে। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আইএলএফএসএল ও এফএএস ফাইন্যান্সের শেয়ার নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top