সকল মেনু

আইপিওতে ৯৩ কোটি টাকা নিতে চায় ইসলাম অক্সিজেন

স্টাফ রিপোর্টার : বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ার বাজার থেকে ৯৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায় ইসলাম অক্সিজেন। সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে আইপিও অনুমোদনের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন জমা হয়েছে।

শিগগিরই অনুমোদন মিলতে পার বলে সম্ভাবনার কথা বলেন কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।

রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে ২৫ অক্টোবর রাতে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে রোড শো আয়োজন করেছে। রোড শো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসলাম অক্সিজেনের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম, চিফ অপারেটিং অফিসার বদর উদ্দিন আল-হোসাইন, কোম্পানি সেক্রেটারি মো. আখতারুজ্জামানসহ সতন্ত্র পরিচালকসহ অন্য কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, জনতা ক্যাপিটাল এন্ড ইনভেস্টমেন্ট, সোনালী ইনভেস্টমেন্ট, আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, রুপালী ইনভেস্টমেন্ট, বিভিন্ন ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারজে হাউজ, অ্যাসেট মানেজমেন্ট কোম্পানির প্রতিনিধিরা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইসলাম অক্সিজেনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ২০২০-২১ অর্থ বছরে আমরা আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা দুই কোটি পঞ্চাশ লক্ষ ঘন মিটারে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে উত্তলিত টাকায় একটি লিক্যুইড গ্যাস প্লান্ট ও একটি নতুন ফ্যাক্টরি বিল্ডিং স্থাপন করবো।

তিনি বলেন, প্লান্ট  দুটি স্থাপিত হলে, দেশের অক্সিজেনসহ ও অন্য গ্যাসের চাহিদা  অনেকাংশে পূরণ করতে সম্ভব। প্লান্ট স্থাপনের  মাধ্যমে আমাদের বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা দুই কোটি পঞ্চাশ লক্ষ ঘন মিটার থেকে প্রায় চার কোটি পঞ্চাশ লক্ষ ঘন মিটারে উন্নীত হবে। এতে দেশের গ্যাস শিল্পে যে বিদেশ নির্ভরতা রয়েছে তা কমিয়ে এনে বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্যাস সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা যাবে।

বাংলাদেশের স্বনামধন্য অক্সিজেন কোম্পানিতে পরিণত করতে ইসলাম অক্সিজেন বুক বিল্ডিং পদ্ধতির মাধ্যমে বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে ৯৩ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য আইপিওতে আবেদন করবে।

আইপিওতে ব্যয়ের পর প্রতিষ্ঠানটি বাকি টাকা দিয়ে নতুন ফ্যাক্টরি বিল্ডিং স্থাপন, প্ল্যান্ট এবং মেশিনারিজ স্থাপনে ব্যয় করবে। অক্সিজেন ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের মেডিকেল গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। সেই চাহিদা থেকেই শেয়ারবাজারে যাত্রা শুরু করছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রায় ২৯ বছর আগে স্টিল ট্রেড বিজনেস দিয়ে ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু করে ইসলাম অক্সিজেন। পর্যায়ক্রমে কোম্পানিটি একাধিক স্টিল উৎপাদন ফ্যাক্টরি গড়ে তোলে। এই স্টিল মিলের প্রয়োজনে পরবর্তীতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অক্সিজেন উৎপাদনের মাধ্যমে ইসলাম অক্সিজেন বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে ২০১৩ সালে। চাহিদা বৃদ্ধির কারণে দ্বিতীয় প্লান্ট স্থাপন এবং একটি এসিটিলিন প্লান্ট গড়ে তুলেছে।

বিভিন্ন শিল্পে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত গ্যাসের ইন্ডাস্ট্রিয়াল চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কার্বন ডাই-অক্সাইড, আর্গন, নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, আর্গোশিল্ড, কর্ণন ও বিভিন্ন ধরনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল মিক্সড গ্যাস উৎপাদন এবং সরবরাহ করা শুরু করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top