সিনিয়র রিপোর্টার: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেডের গ্রিন সুকুক আল ইসতিসনা বিনিয়োগকারীদের প্রথম অর্ধবার্ষিকে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ হারে রিটার্ন দেবে। টাকার অংকে এর পরিমাণ ১৭৪ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ট্রাস্টি কমিটির সভায় প্রথম বছরের প্রথম অর্ধবার্ষিকের রিটার্ন অনুমোদন করা হয়েছে।
বেক্সিমকোর গ্রিন সুকুকের ট্রাস্টি ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) জানিয়েছে, প্রথম বছরের প্রথম অর্ধবার্ষিকের ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ রিটার্ন সুকুকটির অভিহিতমূল্য ১০০ টাকার ওপর দেয়া হবে। ২২ জুন রিটার্নের জন্য যোগ্য সুকুকধারী বাছাইয়ে রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে।
৫ বছর মেয়াদি এ সুকুকটির রিটার্ন ছয় মাস অন্তর অন্তর প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রে রিটার্ন নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ শতাংশ ভিত্তিমূল্যের সঙ্গে মার্জিন যোগ করে। বেক্সিমকো লিমিটেডের আগের বছরের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) ঘোষিত লভ্যাংশ ও ভিত্তিমূল্যের ব্যবধানের ১০ শতাংশ মার্জিন হিসাবে নির্ধারণ করা হবে। যদি লভ্যাংশের হার ভিত্তিমূল্যের সমান বা কম হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে ভিত্তিমূল্যের হিসাবে রিটার্ন প্রদান করা হবে। আর লভ্যাংশ ৯ শতাংশের বেশি হলে তার ১০ শতাংশ সুকুকের মুনাফার সঙ্গে যুক্ত হবে।
বেক্সিমকো লিমিটেড সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ থেকে ভিত্তিমূল্য ৯ শতাংশ বাদ দেয়া হলে থাকে ২৬ শতাংশ। ২৬ শতাংশের ১০ শতাংশ হয় ২ দশমিক ৬০ শতাংশ। এই ২ দশমিক ৬০ শতাংশের সঙ্গে ভিত্তিমূল্য ৯ শতাংশ যোগ করা হলে দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৬০ শতাংশ। এটি হচ্ছে এক বছরের রিটার্ন। ফলে অর্ধবার্ষিকের এ হার দাঁড়াবে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশে।
সুকুকে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের শতভাগ বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকছে। এক্ষেত্রে প্রতি বছর সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে সুকুক শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে। গুণিতক হারে অর্থাৎ ৫, ১০, ১৫ ও ২০ শতাংশ রূপান্তরের সুযোগ থাকছে। কোনো বছর শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ গ্রহণ না করলে সেটি পরবর্তী বছরে করা যাবে।
এ রূপান্তরের মূল্য নির্ধারিত হবে রেকর্ড তারিখের আগের ২০ কার্যদিবসে ডিএসইতে বেক্সিমকোর শেয়ারের ভারিত গড় মূল্যের ৭৫ শতাংশ। যদি কোনো বিনিয়োগকারী সুকুককে শেয়ারে রূপান্তর করতে না চান, তাহলে পাঁচ বছরে ওই সুকুকের অবসায়ন হবে।
বেক্সিমকো গ্রিন-সুকুক আল ইসতিসনা শরিয়াহভিত্তিক বন্ডটির মাধ্যমে সংগৃহীত ৩ হাজার কোটি টাকা বেক্সিমকো লিমিটেডের সাবসিডিয়ারি তিস্তা সোলার লিমিটেড ও করতোয়া সোলার লিমিটেডের নির্মাণকাজে ব্যয় করা হবে। এছাড়া বেক্সিমকোর বস্ত্র খাতের ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা এবং পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে এ অর্থ ব্যবহার করা হবে। বেক্সিমকো গ্রিন-সুকুক ট্রাস্ট নামে স্পেশাল পারপাস ভেহিকলের মাধ্যমে এ সুকুক ইস্যু করা হয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল বেক্সিমকো গ্রিন সুকুকের প্রতি ইউনিট ৮৭ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। এ বছরের ১৩ জানুয়ারি লেনদেন শুরু হওয়ার পর থেকে সুকুকটির প্রতি ইউনিট সর্বনিম্ন ৮৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ১১০ টাকায় লেনদেন হয়েছে।