স্টাফ রিপোর্টার : নতুন ম্যানুফ্যাকচারিং কমপ্লেক্স স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোনের ৩৫ একর জমি ইজারা নিচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড। আর এই জমির জন্য নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত বাংলাদেশ এসইজেড লিমিটেডের (বিএসইজেড) সঙ্গে ইজারা চুক্তি সম্পন্ন করেছে সিঙ্গার বাংলাদেশ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, এর আগে গত ৩১ মার্চ ডিএসইতে ঘোষণা দিয়েছিল, উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আনুমানিক ৬৮০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। তখন মূলত তাদের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি নতুন ম্যানুফ্যাকচারিং কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার জন্য আনুমানিক ৭১ মিলিয়ন ইউরো বা ৬৮০ কোটি টাকার সমতুল্য একটি বাজেট অনুমোদন করে।
আর এই বিনিয়োগটি অভ্যন্তরীণ উৎসের পাশাপাশি বিদেশি ও স্থানীয় ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে বলে জানিয়েছিল। প্রস্তাবিত উৎপাদন সুবিধার মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান স্থানীয় চাহিদা পূরণ করবে এবং কোম্পানির বিকাশেও অবদান রাখবে।
‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটি ১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৩০ হজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৪১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ৯৭ লাখ দুই হাজার ৮৩৮টি শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫৭ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ২৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে সাত টাকা ৮৫ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়ায় ৩২ টাকা ১৯ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৮৫ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ১৯ পয়সা।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (২ জুন) ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৬৭ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৩৮ হাজার ৬৫২টি শেয়ার ৯২ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ছিল ৬৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৬৭ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৬৮ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৫১ টাকা ১০ পয়সা থেকে ২১৪ টাকায় ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।