Homeকোয়ার্টার রিভিউ১৩৪ কোটি টাকা কর-পরবর্তী মুনাফা অর্জন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক

১৩৪ কোটি টাকা কর-পরবর্তী মুনাফা অর্জন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক

সিনিয়র রিপোর্টার : ব্র্যাক ব্যাংক এককভাবে ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ১৩৪ কোটি টাকা কর-পরবর্তী মুনাফা অর্জন করেছে। আর সামষ্টিকভাবে কর-পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৯৭ কোটি টাকা।

৩০ মে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ২০২২ সালের প্রথম তিন মাসের আর্থিক ফলাফল ও পরিচালনাগত অর্জনসমূহ ঘোষণা করে ব্র্যাক ব্যাংক। স্থানীয় ও বিদেশী বিনিয়োগ বিশ্লেষক, পোর্টফোলিও ম্যানেজার ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি ব্যাংকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক ফলাফল সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, ব্র্যাক ব্যাংকের অর্জিত প্রথম প্রান্তিকের ফলাফল প্রমাণ করে যে, অর্থনীতি মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে ওঠায় ব্যাংক নতুন গ্রাহক নিয়ে আসতে ও ব্যালেন্স শিট প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছে। আমাদের দৃঢ়গ্রাহক ভিত, বিস্তৃত নেটওয়ার্ক ও ডিজিটাল চ্যানেল এ প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে আমরা প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত রাখতে চাই। আমি ব্যাংকের প্রতিভাবান কর্মকর্তাদের তাদের দৃঢ় অঙ্গীকারের জন্য, পরিচালনা পর্ষদকে দিক নির্দেশনার জন্য এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে নীতিগত সহায়তা প্রদানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের এমডিসহ ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) অ্যান্ড সিএফও এম. মাসুদ রানা, ডিএমডি অ্যান্ড সিওও মো. সাব্বির হোসেন, ডিএমডি অ্যান্ড হেড অব কর্পোরেট ব্যাংকিং তারেক রেফাত উল্লাহ খান, ডিএমডি অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন, ডিএমডি অ্যান্ড হেড অব ট্রেজারি অ্যান্ড এফআই মো. শাহীন ইকবাল, হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম, এবং হেড অব ক্রেডিটরিস্ক ম্যানেজমেন্ট আহমেদ রশীদ জয় ব্যাংকের আর্থিক ফলাফল, অর্জন, অগ্রগামী অবস্থান ও ভবিষ্যতের ব্যবসায়িক কৌশল তুলে ধরেন এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকের উল্লেখযোগ্য সাফল্য : এককভাবে শেয়ার প্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ০.৮৯ টাকা, যা ২০২১ সালে একই সময়ে ছিল ০.৯৪ টাকা (২০২১ সালে ৭.৫% স্টক ডিভিডেন্টের প্রেক্ষিতে পুনঃহিসাবকৃত);

শেয়ার প্রতি ব্যাংকের নিট অ্যাসেটস মূল্য ৩৭.১৫ টাকায় উন্নিত হয়েছে, যা ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে ছিল ৩০.৭২ টাকা (২০২১ সালে ৭.৫% স্টক ডিভিডেন্টের প্রেক্ষিতে পুনঃহিসাবকৃত।

শেয়ার প্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ৬.৯০ টাকা থেকে বেড়ে ৫.১৭ টাকায় উন্নীত হয়েছে। ২০২২ সালে আমানত বেশি সংগ্রহ করায় ও অতিরিক্ত তহবিল ঋণ নেওয়ায় এটি হয়েছে।

ব্যাংকের কৌশলগত পরিকল্পনার সাথে সঙ্গতি রেখে লোন পোর্টফোলিও ৫.৪% (২১.৫% অ্যানুয়ালাইজড) প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

অ্যাসেটের প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে নিতে আমানত প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত ছিল। ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে আমানতে ৩.৬%(১৪.৩% অ্যানুয়ালাইজড) প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এই প্রবৃদ্ধি গ্রাহকের ক্রমবর্ধমান আস্থার প্রতিফলন।

মোট আমানতের ৫৩% এসেছে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট সেভিং অ্যাকাউন্ট থেকে।

নিট ইন্টারেস্ট মার্জিন ০.৬০% হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও মোট আয় ২.৩%  বৃদ্ধি পেয়েছে। ঋণে লক্ষণীয় প্রবৃদ্ধি, ফি ও বৈদেশিক বাণিজ্যের আয়ের ফলে এটি হয়েছে।

২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় পরিচালনা ব্যয় ১৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। মানবসম্পদের ব্যয় বিশেষ করে মানব সম্পদ, প্রযুক্তি ও অবকাঠামোতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখার জন্য এটি হয়েছে।

খেলাপী ঋণের হার (এনপিএল) দাঁড়িয়েছে ৪.১%, যা ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ছিল ৩.৯%। ঋণ পরিশোধে সব ধরনের বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পর এই অবস্থা প্রত্যাশিত ছিল। মন্দঋণের জন্য পর্যাপ্ত প্রভিশনিং করা হয়েছে। ভবিষ্যতের কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় ১১৭% এনপিএল কভারেজ নিশ্চিত করা হয়েছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সাত দিনের সর্বাধিক পঠিত