Homeঅর্থনীতি‘সামাজিক নিরাপত্তার আওতা বাড়াতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে’

‘সামাজিক নিরাপত্তার আওতা বাড়াতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে’

স্টাফ রিপোর্টার:  আগামী ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতের আওতায় বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। সরকারকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বরাদ্দ বর্তমান বরাদ্দ থেকে যুক্তিসঙ্গত পরিমান বাগাতে পারে। বিশেষ করে বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আরেকটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এছাড়াও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বন্ধ করা উচিত।

রোববার (১৯ জুন) রাজধানীর এমসিসিআই মিলনায়তনে এমসিসিআই-পিআরআই ‘বাংলাদেশ ফোরম ভালনার্লেনেলিটিটু রেসিলেন্স এ্যান্ড র‌্যাপিড ইনক্লুসিভ ডেভলোপমেন্ট’ শীর্ষক বাজেটোত্তর আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মূল পেপার উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সরকারের ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়নের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হবে। এজন্য বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী এবং কৃষি খাতে বরাদ্দ আরও বাড়ানো উচিত। এছাড়াও, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বন্ধ করা উচিত এবং কর ব্যবস্থা সংস্কার করা উচিত।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সরকারের নির্ধারণ করা রাজস্ব আদায় এনবিআরের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হবে। সরকারকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য অর্জনের জন্য রাজস্ব ব্যবস্থায় সংস্কার করা উচিত। বিশেষ করে গণবান্ধব ও স্বয়ংক্রিয় রাজস্ব ব্যবস্থা চালু করতে হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন করতে হবে। জনগণ যাতে কোন হয়রানি ছাড়া কর ও ভ্যাট দিতে পারে সেদিকে নজর দিতে হবে।

তিনি বাজেটে পেনশন, বাণিজ্য পরিষেবা, বেতন এবং বেসরকারি চাকরির মজুরি বিষয়ে গুরুত্ব আরোপের কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, মূল্যস্ফীতি এখন বৈশ্বিক সমস্যা। সরকার খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষিতে ভর্তুকি দিয়ে থাকে।

পিআরআই চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার বলেন, বর্তমান চ্যালেঞ্জ যেমন মুদ্রাস্ফীতি, ঋণ, ঘাটতি, টেকসই সমস্যা। আর শক্তিশালী রপ্তানি প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও অস্থিতিশীলতা রয়েছে। আগামী ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এর বাজেটে রপ্তানি বহুমুখীকরণের সীমাবদ্ধতাগুলি সমাধান করা উচিত।

মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ থেকে সামাজিক সুরক্ষায় বাজেট বাড়ানো উচিৎ।

তিনি বলেন, সরকার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কর প্রদানের মাধ্যমে কোনও প্রশ্ন ছাড়াই কালো টাকা সাদা করার অনুমতি দিচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সবসময় সৎ উদ্যোক্তা ও নাগরিকদের নিরুৎসাহিত করে।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, সরকার অর্থনৈতিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে অপ্রকাশিত অর্থ সাদা করার অনুমতি দিয়েছে।

এমসিসিআই ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশন সাব-কমিটির চেয়ারম্যান আদিব এইচ খান বলেন, আমরা তালিকাভুক্ত এবং নন-তালিকাভুক্ত উভয় কোম্পানির জন্য করপোরেট কর হার কমানোর জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানাতে চাই। তবে নির্ধারিত শর্তগুলি বেশিরভাগ ব্যবসায়ীর পক্ষে পূরণ করা কঠিন হতে পারে। এটি বিবেচনায় নিতে হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সাত দিনের সর্বাধিক পঠিত