স্টাফ রিপোর্টার: বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলারের ফান্ড রয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ ফান্ড আমরা যদি পুঁজিবাজারে ব্যবহার করতে পারি, তবে বাজার অনেক উপকৃত হবে। তবে এই বিপুল পরিমাণ ফান্ড থাকলেও অলস পড়ে আছে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেছেন। বুধবার ‘ইনভেস্টমেন্ট এলিজিবিলিটি অফ দি রেজিস্টার্ড রিকগনাইজ প্রভিডেন্ট, পেনশন অ্যান্ড গ্রাচুইটি ফান্ডস (আরপিপিজিএফ) ফর আইপিও’ এর ওপর গণশুনানির উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এসব অলস ফান্ড ব্যবহার করতে পারলে পুঁজিবাজার অনেক উপকৃত হবে। এছাড়াও দেশের সরকারি-বেসরকারি স্বায়ত্তশাসিত সব সেক্টরে প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ বিভিন্ন ফান্ড রয়েছে। ওই সব ফান্ডের অর্থ পুঁজিবাজারে আনতে বাধা নেই।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) আয়োজিত গণশুনানিতে তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত ২০ প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ডলার রয়েছে। যার ২৫ শতাংশ আমরা পুঁজিবাজারে ব্যবহার করতে পারি। এগুলো ব্যবহার করতে পারলে পুঁজিবাজার অনেক সম্প্রসারিত হবে।
ডিএসই চেয়ারম্যান ইউনূসুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে ৬০টি ব্যাংক রয়েছে। এসব ব্যাংকের প্রায় ১০ হাজার শাখা রয়েছে। একই সাথে অনেকগুলো আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে প্রভিডেন্ট ফান্ড রয়েছে এই অর্থ আমরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারি। এই অর্থগুলোকে যদি আমরা পুঁজিবাজারের নিয়ে আসতে পারি তবে বাজার অনেক উপকৃত হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে যেভাবে কাজ করছি তা অনেকটুকু পূর্ণ হবে যদি প্রভিডেন্ট ফান্ড বাজারে বিনিয়োগের জন্য নিয়ে আসতে পারি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।