Homeবিশেষ সংবাদকপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের বার্ষিক ‘মুনাফা হবে ১৫৪ কোটি টাকা’

কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের বার্ষিক ‘মুনাফা হবে ১৫৪ কোটি টাকা’

শাহীনুর ইসলাম: কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস (শেয়ারপ্রতি আয়) বেশ ভালো করেছে। রপ্তানী বাণিজ্য বাড়ায় মুনাফাও অনেকে বেড়েছে।। একইসঙ্গে করোনা পূর্ববর্তী বছরে কোম্পানির মুনাফা ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা ছাড়িয়ে চলতি বছরে ভ্যাট ছাড়া ১৫৪ কোটি কোটি টাকা মুনাফা করবে আভাস দিয়ে কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।

হবিগঞ্জের মাধবপুরের কারখানায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে সিসিআর মেশিনে তামার পাইপ ও তারের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হওয়ায় করোনাভাইরাসের প্রবল ধাক্কা সামলে উঠেছে কোম্পানিটি।

যে কারণে রপ্তানী বাণিজ্য বাড়ায় বছরে মোট ১৮০ কোটি টাকা লেনদেন করবে এবং প্রবৃদ্ধি হবে ১৬০ শতাংশ। তবে ভ্যাট ছাড়াই ১৫৪ কোটি কোটি টাকা মুনাফা করবে বলে কোম্পানি সেক্রেটারি এসকে মিরাজ আলী বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) এ তথ্য জানিয়েছেন।

কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বছরে প্রায় ১২শ টন পাইপ উৎপাদন করা হবে।

ইতোমধ্যে প্রবৃদ্ধির প্রভাব পড়ে দ্বিতীয় প্রান্তিকের মুনাফায়। ৬৩ কোটি টাকা মূলধনের কোম্পানির দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫১ পয়সা। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩৫ পয়সা।

অপরদিকে, ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮২ পয়সা। যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪৯ পয়সা।

করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউ পৃথিবীর সব কোম্পানির বাণিজ্য ও অর্থ প্রবাহে ধাক্কা লাগে। করোনাভাইরাসের মহামারী ঠেকাতে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়। কারখানা বন্ধ, কর্মী ছাটাইসহ বিভিন্ন সংকটে কাটে ২০২০ সাল। এ সময়ে কপারটেকের কর পরবর্তী কোম্পানির মুনাফা হয়েছিল ২ কোটি ১৬ লাখ ১ হাজার টাকা।

আগের বছর অর্থাৎ করোনা পূর্ববর্তী কোম্পানির মুনাফা হয়েছিল ৪ কোটি ৮২ লাখ ৬ হাজার টাকা।

ডিএসই থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে নেয়া গ্রাফ

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বৃহস্পতিবার দুপুরে (২৩ জুন) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি দর ছিল ৩৮.৮০ টাকা।

২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে ২০ কোটি টাকায় নেয়া কপারটেকের কারখানা হবিগঞ্জের মাধবপুরে। এ কারখানায় এয়ার কন্ডিশনার ও রেফ্রিজারেটরে ব্যবহৃত তামার পাইপ উৎপাদন করে থাকে।

তালিকাভুক্তির পরের ২ বছরে করোনার প্রভাবে মুনাফা কমে আসে। যে কারণে ২০২০ সালে লভ্যাংশের পরিমাণ কমে হয়েছে মাত্র আড়াই শতাংশ।

করোনা মহামারির কারণে কোম্পানির মুনাফা কমে এবং করোনায় ভীত সময়ে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ কোম্পানির শেয়ারের মূল্য ছিল মাত্র ১৮ টাকা।

করোনার তৃতীয় ঢেউ সামলে হবিগঞ্জের মাধবপুরের কারখানায় ইতোমধ্যে বসানো হয়েছে কন্টিনাওয়াস কাস্টিং অ্যান্ড রোলিং (সিসিআর) মেশিন। দীর্ঘ সময় পরে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নতুন মেশিনে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করেছে। যার প্রভাব পড়ছে কোম্পানির উৎপাদন, বিপনন এবং মুনাফায়।

সিসিআর মেশিনে বছরে প্রায় ১২শ টন পাইপ উৎপাদন করা হবে।

বাজার পর্যবেক্ষণে জানা গেছে, তামার পাইপ কেজিপ্রতি ৯০০ টাকা হিসাবে উৎপাদিত পণ্যের মূল্য দাঁড়াবে ১১০ কোটি টাকা। এতে কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের বছরে মোট ১৮০ কোটি টাকা লেনদেন এবং তবে প্রবৃদ্ধি হবে ১৬০ শতাংশ।

তবে ভ্যাট ছাড়া বার্ষিক মুনাফা হবে প্রায় ১৫৪ কোটি টাকা হবে বলেন এসকে মিরাজ আলী।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে কপারটেকের বর্তমানে দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ রয়েছে ১২ কোটি ৫৯ লাখ ১ হাজার টাকা।

২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রকাশিত প্রতিদেন অনুসারে কপারটেক ইন্ড্রাস্টিজের উদ্যোক্তা পরিচালক হলেন ৯ জন; তাদের মধ্যে দুজন ইনডিপেনডেন্ট ডিরেক্টর। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৩০.০৭ শতাংশ ধারণ করেছেন তারা।

কোম্পানির সর্বোচ্চ পরিমাণ শেয়ার জুলফিকার আলী, চেয়ারম্যান ৯.৩৩ শতাংশ বা ৫৮ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার ধারণ করেন। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্বাসী আদম আলী মোট শেয়ারের ৮ শতাংশ বা ৫ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার ধারণ করেছেন।

একই সঙ্গে উদ্যোক্তা পরিচালক রাশিদা আব্বাস, মুস্তফা সোয়েব, সোয়েব আদম আলী, ড. আবুল বাশার মিলে মোট ৩০.০৭ শতাংশ শেয়া্র ধারণ করেছেন তারা। কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান  হলেন- রাশিদা আব্বাস।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সাত দিনের সর্বাধিক পঠিত