স্টাফ রিপোর্টার : এক্সচেঞ্জ ট্রেডিং ফান্ড বা ইটিএফ চালুর মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারে উন্মোচিত হতে যাচ্ছে নতুন এক দ্বার। এ লক্ষ্যে গত রোববার (২৬ জুন) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডন গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে ডন গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিইও মরিস পটের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন। একইসঙ্গে বৈঠকে বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, মিজানুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিমসহ বিএসইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ উদ্দেশ্যে গঠিত এক ধরণের কালেকটিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কিম বা সমন্বিত বিনিয়োগ তহবিলকে ইটিএফ বলা হয়। এ ধরণের তহবিল থেকে নির্দিষ্ট কিছু শেয়ার বা নির্দিষ্ট সূচকে অন্তর্ভুক্ত কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করা হয়।
বাংলাদেশে ইটিএফ চালুকরণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণ দেয়াসহ এতে বিনিয়োগের বিষয়ে বৈঠকে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মরিস পট।
উল্লেখ্য, ইটিএফ চালুর ক্ষেত্রে বাজার সৃষ্টিকারী বা মার্কেট মেকার প্রয়োজন হবে। ইতোমধ্যে বাজার সৃষ্টিকারী সনদের জন্য দেশের স্বনামধন্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে বলে বৈঠকে বলা হয়।
এতে আরো বলা হয়- এ তহবিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকে সম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠান। অর্থ আইন অনুযায়ী সম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত শেয়ারে তহবিলের বিনিয়োগ করে থাকে। ইটিএফ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ব্রোকারহাউজের মাধ্যমে এর ইউনিট কেনাবেচার সুযোগ পাবেন। এটি মেয়াদি বা বে-মেয়াদি উভয় ধরণেরই হতে পারে। এ ধরণের তহবিলে তালিকাভূক্ত ও তালিকাভূক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। কোথাও কোথাও নির্দিষ্ট সূচক বা ইনডেক্সভিত্তিক করা হয় এর বিনিয়োগ।
ইটিএফ গঠনের ক্ষেত্রে পরিচালন ব্যয় আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে গুরুত্বারোপ করা হয়, -যাতে বিনিয়োগকারীরা সর্বোচ্চ মুনাফা পান।
বৈঠকে বিএসইসি চেয়ারম্যান ইটিএফে বিনিয়োগ তুলনামূলক কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের কাছে ইটিএফ খুবই জনপ্রিয় একটি বিনিয়োগ পণ্য হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করবে। এটি বাজারের স্থিতিশীলতা, বৈচিত্র্য সৃষ্টি ও তারল্যপ্রবাহ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ইটিএফ গঠন ও বাজার সৃষ্টিকারী সনদ প্রদানে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে কমিশনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতাসহ ফাস্ট ট্র্যাক সেবা দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।