শাহীনুর ইসলাম: প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) পাইপলাইনে রয়েছে ১৪টি কোম্পানি। ইতোমধ্যে আইপিও অনুমোদন পেয়েছে একটি ব্যাংক ও ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি।
তবে অনুমোদিত ও পাইপালাইনে থাকা মোট ১৬ প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজার থেকে ১ হাজার ১৪৭ কোটি ২৬ লাখ তুলে নিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন কাজে ব্যয় করবে।
সম্প্রতি নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড আইপিও অনুমোদন পেয়েছে।
নাভানা ফার্মার শেয়ার বিডিং বা নিলাম ৪ জুলাই, রোববার বিকাল ৫টা থেকে শুরু হয়েছে, চলবে ৭ জুলাই বিকাল ৫ টা পর্যন্ত। বুক-বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৯৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে নিলামের কাজ অব্যহত রেখেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
চলতি বছরের ১৫ জুন গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ৪২৫ কোটি টাকার আইপিও অনুমোদন পেয়েছে। শিগগিরই কোম্পানির সাবসক্রিপশন তারিখ নির্ধারিত হবে।
তবে পাইপলাইনে থাকা কোম্পানির মধ্যে ১১টি কোম্পানি শেয়ারপ্রতি ১০ টাকা ইস্যু মূল্যে ৭৫৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা এবং চারটি বুক বিল্ডিং পদ্ধিতিতে ২৮৮ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে।
ইতোমেধ্যে কোম্পানিগুলোর ইস্যু ব্যবস্থাপনা কোম্পানি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আইপিও আবেদনপত্র জমা দিয়েছে।
২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর রোডশো সম্পন্নকারী বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড ৯৫ কোটি, আল-মোস্তফা গ্রুপের সহযোগী কোম্পানি থাই ফয়েলস অ্যান্ড পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রায় ১২০ কোটি টাকা, ইসলাম অক্সিজেন লিমিটেড ৯৩ কোটি এবং আল-মদিনা ফার্মা ৫ কোটি টাকা তুলতে চায়।
মিডল্যান্ড ব্যাংক ৭০ কোটি, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স ২০ কোটি ২৬ লাখ, বি-ব্রাদার্স গার্মেন্টস ৫০ কোটি, পার্কওয়ে প্যাকেজিং ৩০ কোটি, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ১৬ কোটি, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স ১৫ কোটি, শিকদার ইন্স্যুরেন্স ১৬ কোটি এবং এনআরবি ব্যাংক ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায়।
এসএমই প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত হয়ে সুবরা সিস্টেমস ১২ কোটি এবং ইনডেক্স এক্সেসরিজ লিমিটেড ৫ কোটি তুলে নিয়ে আবেদন করেছে।