স্টাফ রিপোর্টার : আত্মসাৎ হওয়া গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। তালিকাভুক্ত শেয়ার লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্রোকারেজ হাউজ তামহা, বাংকো ও ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ৪৩১ জন গ্রাহককে ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে জানায় ডিএসই।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মঙ্গলবার বিকালে জানায়, যেসব বিনিয়োগকারী গত ১৫ মে তারিখের মধ্যে ডিএসইতে অভিযোগ দাখিল করেছেন তাদের বিও হিসাবে উল্লেখিত ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে আনুপাতিক হারে প্রাপ্য অর্থ (যাচাই-বাছাই পূর্বক) প্রদানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে৷ এরই অংশ হিসেবে গত ২৯ জুন থেকে এখন পর্যন্ত ৪৩১ বিনিয়োগকারীকে ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল বিনিয়োগকারীদের পাওনা পরিশোধ করা হবে।
চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি তামহা সিকিউরিটিজের বিওধারী বিনিয়োগকারীরা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, অভিনব কায়দায় দুই শতাধিক বিনিয়োগকারীর ৬৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এছাড়া এই সিকিউরিটিজের মালিক ডুপ্লিকেট সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীদের সব শেয়ার বিক্রি করে দেয় বলে অভিযোগ করেন তারা। বিএসইসি ওই সিকিউরিটিজের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করে দেয়ার পর সিডিবিএলে যোগাযোগ করে বিনিয়োগকারীরা জানতে পারেন তাদের হিসাবে কোনো শেয়ার নেই।
তামহা কর্তৃপক্ষ দুই শতাধিক বিনিয়োগকারীর মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে ডুপ্লিকেট সফটওয়্যার ব্যবহার করে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্য বিনিয়োগকারীদের ফোনে এসএমএস ও মেইল পাঠাতো। এ কারণে তারা জালিয়াতি বুঝতে পারেনি। হাউজটি ১৩৯ কোটি টাকা ৭০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে বিএসইসির প্রতিবেদনে ওঠে আসে।
অনিয়মের দায়ে গত ২৮ নভেম্বর ব্রোকারেজ হাউসটির শেয়ার কেনাবেচার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ডিএসই।
এদিকে অনিয়মের কারণে গত বছর বাংকো সিকিউরিটিজের কার্যক্রমও বন্ধ করে দেয়া হয়। বিএসইসির তদন্ত অনুযায়ী, এ ব্রোকারেজ হাউসের মালিকপক্ষ গ্রাহকদের ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা আত্মসাত করেছে।
২০২০ সালের জুনে ডিএসইর তদন্তে উঠে আসে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের মালিকপক্ষ গ্রাহকের ৮০ কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করেছে। ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির এমডি শহিদ উল্লাহ ও তার স্ত্রী নিপা সুলতানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।