স্টাফ রিপোর্টার : চীনে ৪২ লাখ মার্কিন ডলারের অ্যালুমিনিয়াম তার সরবরাহ করবে রাষ্ট্রায়াত্ত কোম্পানি ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন (বিএসইসি) এর সভাকক্ষে সোমবার (৪ জুলাই) চায়না ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএনটিআইসি) সঙ্গে পণ্য রপ্তানির এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।


বিএসইসির চেয়ারম্যান মো. শহীদুল হক ভূঁঞার উপস্থিতিতে চুক্তিতে সই করেন-ইস্টার্ন ক্যাবলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ এবং সিএনটিআইসির প্রতিনিধি মি. জাং ঝিলং ব্লান্ডি।
পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি অধুনা বাড়ছে প্রকৌশল খাতের কোম্পানিটির শেয়ারদর। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে ইস্টার্ন ক্যাবলসের শেয়ার লেনদেনের গ্রাফ বিশ্লেষণে দেখা যায়- ৩ কার্যদিবসে এর দর বেড়েছে ৩৪ টাকা। এরমধ্যে গত ৩০জুন-২০২২ থেকে ৩জুলাই- ২০২২ পর্যন্ত ১ দিনের ব্যবধানে শেয়ারটির দর বাড়ে ৩.৩০ টাকা। সেইসঙ্গে পণ্য রপ্তানির খবরে অর্থাৎ, সোমবার (৪জুলাই/২০২২) শেয়ারদর লাফিয়ে ১৪.৬০ টাকা বাড়ে। মঙ্গলবার (৫জুলাই/২০২২) রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আবারো উল্লম্ফন। এদিন শেয়ারটির দর ১৬.১০ টাকা বেড়ে সর্বশেষ ১৭৭.৬০ টাকায় লেনদেন হয়। আর এতে ২৭৩ বার হাতবদলের মাধ্যমে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭০টি শেয়ার লেনদেন করে ইস্টার্ন ক্যাবলস।
ইস্টার্ন ক্যাবলস সম্প্রতি সম্পত্তি, কারখানা ও সরঞ্জামের পুনর্মূল্যায়ন করেছে। এতে কোম্পানির সম্পত্তি, কারখানা ও সরঞ্জামের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮৯৫ কোটি ৮৪ লাখ ৫৪ হাজার ৪৯১ টাকা। গত বছর ৩১ ডিসেম্বর শেষে যার মূল্য ছিল ১৫ কোটি ৯৫ লাখ ৯৯ হাজার ৬৩৯ টাকা। পুনর্মূল্যায়নের পর কোম্পানির উদ্বৃত্তের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৭৯ কোটি ৮৮ লাখ ৫৪ হাজার ৮৫২ টাকা।
পর্যায়ক্রমে ইস্টার্ন ক্যাবলসের লোকসান কমতে শুরু করেছে। সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ১৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ লোকসান ছিল ৪ টাকা ৫১ পয়সা। অন্যদিকে তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩২ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ২২ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২২ শেষে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ২৯ পয়সা।
শেয়ারমার্কেটে ১৯৮৬ সালে তালিকাভুক্ত B ক্যাটেগরির এ কোম্পানির অনুমোদিত মূলধনের পরিমাণ ৬০কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ২৬কোটি ৪০লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা- ২কোটি ৬৪লাখ। এরমধ্যে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের ১৭.৭৭ শতাংশ, সরকারের ৫১.০০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১৮.২১ শতাংশ এবং বাকি ১৩.০২ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীর।