Homeকোম্পানি সংবাদ৫০ কোটি টাকা বেশি নিট মুনাফায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো

৫০ কোটি টাকা বেশি নিট মুনাফায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো

স্টাফ রিপোর্টার: ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানির (বিএটিবিসি) আগের তুলনায় ৫০ কোটি টাকা বেশি নিট মুনাফা হয়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস। বহুজাতিক কোম্পানিটির সর্বশেষ প্রকাশিত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ ছবি প্রকাশ পায়।

বিএটিবিসির প্রতিবেদনে দেখা যায়- ২০২২ হিসেব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) কোম্পানির মোট আয় হয়েছে ১৮ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা। -যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৮ হাজার ৮৪ কোটি টাকা। সেহিসেবে ১ বছরের ব্যবধানে ৫৫৪ কোটি টাকা বা ৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ আয় বেড়েছে।

আবার, আলোচ্য সময়ের কর পরিশোধের পর নিট মুনাফা হয়েছে ৯১২ কোটি টাকা। আগের বছর একই সময় যা ছিল ৮৬২ কোটি টাকা। এতে বছরান্তে কোম্পানির নিট মুনাফা ৫০ কোটি টাকা বা ৫ দশমিক ৯১ শতাংশ বেড়েছে।

প্রথমার্ধে বিএটিবিসির ইপিএস হয়েছে ১৬ টাকা ৯৩ পয়সা। গেল বছর একই সময় যা ১৫ টাকা ৯৬ পয়সা ছিল। অর্থাৎ, প্রথমার্ধে ইপিএস বেড়েছে ৯৭ পয়সা।

দ্বিতীয় প্রান্তিকেও (এপ্রিল-জুন/২০২২) বিএটিবিসির মুনাফা বেড়েছে। এ সময় কোম্পানির মোট আয় হয়েছে ৯ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা। -যা আগের বছর একই সময় ৮ হাজার ৫২৯ কোটি টাকা ছিল।

একই সময়ের কর পরিশোধের পর কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ৪৯৭ কোটি টাকা। -যা আগের বছর একই সময় ৪৭৪ কোটি টাকা ছিল। অর্থাৎ, আগের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে নিট মুনাফা ২৩ কোটি টাকা বেড়েছে।

এসময় কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৯ টাকা ২০ পয়সা। আগের বছর একই সময় যা ৮ টাকা ৭৯ পয়সা ছিল সেহিসেবে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ৪১ পয়সা বেড়েছে।

বিএটিবিসি ৩১ ডিসেম্বর/২০২১ সমাপ্ত হিসেব বছরের জন্য মোট ২৭৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের। এর মধ্যে নগদ লভ্যাংশ  ১৫০ শতাংশ। বাকি ১২৫ শতাংশ লভ্যাংশ অন্তর্বর্তীকালীন।

কোম্পানিটির ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষে  শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য বা এনএভিপিএস ৬৮ টাকা ১৩ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। আগের হিসেব বছর শেষে যা ৬২ টাকা ৯৬ পয়সা ছিল।

শেয়ারমার্কেটে ১৯৭৭ সালে তালিকাভুক্ত বিএটিবিসির অনুমোদিত মূলধন ৫৪০ কোটি টাকা। -যার পুরোটাই পরিশোধিত। কোস্পানির রিজার্ভে রয়েছে ৩ হাজার ১৪১ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

বহুজাতিক কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৫৪ কোটি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৭২ দশমিক ৯১ শতাংশ শেয়ার। বাংলাদেশ সরকারের হাতে শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ। কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ শেয়ার বিদেশী বিনিয়োগকারীদের হাতে। বাকি ৬ দশমিক ৪২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।

বিএটিবিসির শেয়ার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার(২৮ জুলাই/২০২২) সর্বশেষ ৫১৪ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর ১ বছরে ৫১০ টাকা থেকে ৭৫৪ টাকায় ওঠা-নামা করে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সাত দিনের সর্বাধিক পঠিত