সকল মেনু

রেকিট বেনকিজার: আয় বাড়লেও কমেছে মুনাফা

সিনিয়র রিপোর্টার: চলতি ২০২২ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এফএমসিজি খাতের বহুজাতিক কোম্পানি রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ পিএলসির আয় সামান্য বাড়লেও কর-পরবর্তী নিট মুনাফা কমেছে ১৮ শতাংশের বেশি। আলোচ্য সময়ে আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির পরিচালন মুনাফা কমা ও উৎপাদন ব্যয় বাড়ায় নিট মুনাফা কমেছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশের আয় হয়েছে ২৫১ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ আয় ছিল ২৫০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় কমেছে ৪১ লাখ টাকা বা দশমিক ১৬ শতাংশ।

আলোচ্য হিসাব বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে ২১ কোটি ৮ লাখ টাকা এবং পরিচালন মুনাফা কমেছে ৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। যার প্রভাবে আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা কমেছে। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ২৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ মুনাফা ছিল ২৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা কমেছে ৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বা ১৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫০ টাকা ৬৮ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬২ টাকা শূন্য ৩ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৬ টাকা ৩২ পয়সায়।

এদিকে চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ১২৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ আয় ছিল ১২২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩১ টাকা ৩৬ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩২ টাকা ৬৪ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ১ হাজার ৬৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে রেকিট রেনকিজার বাংলাদেশ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৭১ টাকা ৩ পয়সা, এর আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১৫৬ টাকা ৩৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২০০ টাকা ৬৫ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১৭০ টাকা ৯৫ পয়সা।

এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১ হাজার ৪০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ২০১৯ হিসাব বছরে কোম্পানিটি ১ হাজার ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। তার আগে ২০১৮ সালে ৭০০ শতাংশ নগদ, ২০১৭ সালে ৭৯০ শতাংশ নগদ, ২০১৬ সালে ৭৭৫ শতাংশ নগদ এবং ২০১৫ সালে ৬৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।ads

১৯৮৭ সালে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২৫ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৪ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৯০ কোটি ৭১ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৪৭ লাখ ২৫ হাজার। এর মধ্যে ৮২ দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ারই রয়েছে মূল কোম্পানি যুক্তরাজ্যভিত্তিক রেকিট বেনকিজার পিএলসির কাছে।

এছাড়া সরকারের কাছে ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪ দশমিক ৪০, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ২ দশমিক ৯০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

ডিএসইতে গতকাল রেকিট বেনকিজার শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৪ হাজার ৭৪৮ টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৪ হাজার ৪০০ টাকা থেকে ৬ হাজার ২২৩ টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top