সিনিয়র রিপোর্টার: শিগগিরই শুরু হবে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড সাবসক্রিশনের দিনক্ষণ। পুঁজিবাজারে তারল্য সংকটে সার্কিট ব্রেকার চলমান থাকায় নির্দিষ্ট দিনক্ষণ প্রকাশ করতে নারাজ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্তৃপক্ষ।
তবে বিলম্বের কারণ হিসেবে শেয়ারমার্কেটে লেনদেনের পরিমাণ কম হওয়া বা তারল্য সংকটে বিলম্ব। ব্যাংকটিরে আইপিওতে বিপুল পরিমাণ টাকা যাতে আবদ্ধ হয়ে না পড়ে সেজন্য বিলম্ব হচ্ছে বলে বিএসইসির একটি সূত্র তথ্য নিশ্চিত করে। পুঁজিবাজারের সার্কিট ব্রেকার তুলে দিয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হলেই সাবসক্রিশনের দিনক্ষণ নির্ধারণ হবে বলেও আভাস দেন তিনি।
পুঁজিবাজার থেকে ৪২৫ কোটি টাকা তোলার অনুমোদন পেয়েছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। সব প্রক্রিয়া শেষে এটি লেনদেনে এলে তা হবে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৪ নম্বর ব্যাংক। বাংলাদশে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৬১টি ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
কমিশন সভায় সম্প্রতি নতুন প্রজন্মের এ ব্যাংককে অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে মূলধন উত্তোলন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভায় গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংককে ১০ টাকা মূল্যের ৪২ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ৪২৫ কোটি টাকা তোলার অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
ব্যাংকটি আইপিওর মাধ্যমে তোলা অর্থ এসএমই খাত, সরকারি সিকিউরটিজ ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে। ব্যাংকের ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস ও প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট।
প্রবাসী উদ্যোক্তাদের উদ্যোগে ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হাবিব হাসনাত।
ব্যাংকের ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট সম্পদের পরিমাণ ১২ হাজার ৭২৮ কোটি টাকা।
ব্যাংকটি ২০১৬ সালে ৪২ কোটি ৩০ লাখ টাকা, ২০১৭ সালে ৩৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, ২০১৮ সালে ৫৩ কোটি ৩ লাখ টাকা, ২০১৯ সালে ৩৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং ২০২০ সালে ১০২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা মুনাফা করেছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।