স্টাফ রিপোর্টার: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অর্ধবার্ষিকীতে (জানুয়ারি-জুন’২২) গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) বা ক্যাশফ্লো বেড়েছে ১৩ ব্যাংকের এবং ক্যাশ ফ্লো কমেছে ১২ ব্যাংকের। অন্যদিকে, ৮ ব্যাংকের ক্যাশ ফ্লো নেগেটিভ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা ব্যাংকগুলো হলো- আল-আরাফা ইসলামি ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া এবং ট্রাস্ট ব্যাংক।
আল-আরাফা ইসলামি ব্যাংক: বছরের প্রথমার্ধে বা ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন’২২) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ২৮ পয়সা। গত বছরে যার পরিমাণ ছিল ৪ টাকা ৮৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে ব্যাংকটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ বেড়েছে ১৬ টাকা ৪৩ পয়সা।
এনআরবিসি ব্যাংক: বছরের প্রথমার্ধে বা ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন’২২) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৯৯ পয়সা, গত বছরে যার পরিমাণ মাইনাস ছিল ৭২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে ব্যাংকটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ বেড়েছে ১৪ টাকা ২৭ পয়সা।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক: বছরের প্রথমার্ধে বা ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন’২২) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ১ পয়সা, গত বছরে যার পরিমাণ মাইনাস ছিল ১ টাকা ৭১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে ব্যাংকটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ বেড়েছে ৯ টাকা ৩০ পয়সা।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক: বছরের প্রথমার্ধে বা ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন’২২) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৮৬ পয়সা, গত বছরে যার পরিমাণ মাইনাস ছিল ৬১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে ব্যাংকটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ বেড়েছে ৪ টাকা ২৫ পয়সা।
ইউনিয়ন ব্যাংক: বছরের প্রথমার্ধে বা ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন’২২) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ১২ পয়সা, গত বছরে যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে ব্যাংকটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ বেড়েছে ৫ পয়সা।
ব্র্যাক ব্যাংক: বছরের প্রথমার্ধে বা ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন’২২) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৯৪ পয়সা, গত বছরে যার পরিমাণ ছিল ৩ টাকা ৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে ব্যাংকটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ বেড়েছে ৪ টাকা ৮৫ পয়সা।
ওয়ান ব্যাংক: বছরের প্রথমার্ধে বা ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন’২২) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৮২ পয়সা, গত বছরে যার পরিমাণ ছিল ৩ টাকা ১৩ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে ব্যাংকটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ বেড়েছে ১ টাকা ৬৯ পয়সা।
যমুনা ব্যাংক: বছরের প্রথমার্ধে বা ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন’২২) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৭০ পয়সা, গত বছরে যার পরিমাণ ছিল ১৩ টাকা ৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে ব্যাংকটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ বেড়েছে ২ টাকা ৬৬ পয়সা।
প্রিমিয়ার ব্যাংক: বছরের প্রথমার্ধে বা ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন’২২) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৬১ পয়সা, গত বছরে যার পরিমাণ মাইনাস ছিল ৪ টাকা ৯৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে ব্যাংকটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ বেড়েছে ১ টাকা ৬৩ পয়সা।
শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক: বছরের প্রথমার্ধে বা ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন’২২) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৭৭ পয়সা। গত বছরে যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ১৬ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে ব্যাংকটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ বেড়েছে ৪ টাকা ৬১ পয়সা।
এবি ব্যাংক: বছরের প্রথমার্ধে বা ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন’২২) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৪২ পয়সা, গত বছরে যার পরিমাণ মাইনাস ছিল ৮ টাকা ৭৩ পয়সা। অর্থাৎ ব্যাংকটির ক্যাশ ফ্লো নেগেটিভ থেকে পজেটিভ হয়েছে।
ব্যাংক এশিয়া: বছরের প্রথমার্ধে বা ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন’২২) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৭৩ পয়সা, গত বছরে যার পরিমাণ ছিল ৭ টাকা ১৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে ব্যাংকটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ বেড়েছে ২৫ টাকা ৫৮ পয়সা।
ট্রাস্ট ব্যাংক: বছরের প্রথমার্ধে বা ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন’২২) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ২২ পয়সা, গত বছরে যার পরিমাণ মাইনাস ছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে ব্যাংকটির ক্যাশ ফ্লোর পরিমাণ বেড়েছে ১৯ টাকা ৮২ পয়সা।