Homeখাতওয়ারী সংবাদ১৪টি কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করার ‍সিদ্ধান্ত এখনো অকার্যকর

১৪টি কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করার ‍সিদ্ধান্ত এখনো অকার্যকর

সিনিয়র রিপোর্টার: ২০১৯ সালের শুরুতে ১৪টি কোম্পানিকে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত করার আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নেয়া হয়। সাড়ে ৩ বছরেরও তা করতে পারেনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ গত বছরের জুলাইতে টানা ৮ বছর শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ তালিকাভুক্ত ১৫ কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করার পদক্ষেপ নেয়। এর আগে রহিমা ফুড ও মডার্ন ডাইংকে তালিকাচ্যুত করেছিল দেশের প্রধান এক্সচেঞ্জটি। তবে আগাম ঘোষণা ছাড়া তালিকাচ্যুত করা নিয়ে সমালোচনা হয়। এ কারণে এই ১৫ কোম্পানিকে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করার সুযোগ দিয়ে ২০১৯ সালে ১৮ ও ১৯ জুলাই চিঠি দিয়েছিল ডিএসই।

কোম্পানিগুলোর জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় বিএসইসির অনুমতি নিয়ে এগুলোর বাস্তব অবস্থা জানতে সরেজমিন পরিদর্শন করে স্টক এক্সচেঞ্জ। এ ক্ষেত্রেও আশানুরূপ কিছু না পাওয়ায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি চার কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়।

তবে ডিএসই নিজে তালিকাচ্যুতি না করে বিএসইসির কাছে তালিকাচ্যুতির মাধ্যমে ওটিসি বাজারে পাঠানোর অনুমোদন চায়। তিন মাস আগে সেই চিঠি পেলেও এখনও সিদ্ধান্ত জানায়নি কমিশন।

১৫ কোম্পানি হলো- মেঘনা পেট, সাভার রিফ্যাক্টরিজ, ইমাম বাটন, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক্ক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, দুলামিয়া কটন, সমতা লেদার, শ্যামপুর সুগার, ঝিলবাংলা সুগার, কেএন্ডকিউ, বেক্সিমকো সিনথেটিক্স, জুট স্পিনার্স, শাইনপুকুর সিরামিক্স, সোনারগাঁও টেক্সটাইল ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস। এর মধ্যে প্রথম চারটিকে তালিকাচ্যুতির নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। অন্যদিকে ২০১৮ সালের জন্য ডিভিডেন্ড দেওয়ায় কেএন্ডকিউকে পরে এ তালিকা থেকে বাদ দেয় স্টক এক্সচেঞ্জটি।

এদিকে গত ১৮ জুলাই থেকে ডিএসই প্রতিদিন এসব কোম্পানির নাম উল্লেখ করে এগুলোর পারফরম্যান্স মূল্যায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে ওয়েবসাইটে খবর প্রচার করছে। এমন নোটিশ প্রচারের প্রথম দিকে শেয়ারগুলোর বড় ধরনের দরপতন হলেও এখন ঘটছে উল্টো।

কমিশন সূত্র জানায়, চিঠি পাওয়ার পর ডিএসইর কাছে বিএসইসি এসব কোম্পানিকে ওটিসি বাজারে পাঠানোর কারণ জানতে চায়। একই সঙ্গে জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি বিষয়ক নির্দেশনা পরিপালন না করার বিষয়ে কোম্পানিগুলোর কাছে জানতে চায়। ডিএসই জবাব দিলেও চার কোম্পানি চিঠির জবাব দেয়নি।

ডিএসই জানিয়েছে, ২০০৯ ও ২০১০ সালে রুগ্‌ণ, বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকা ৭০টিরও অধিক কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করে ওটিসি বাজারে পাঠানোর বিষয়ে বিএসইসির আগের নির্দেশনা অনুযায়ী এমন প্রস্তাব করেছে তারা।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সাত দিনের সর্বাধিক পঠিত