শাহীনুর ইসলাম : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুতে ছিল অবহেলিত কোম্পানিগুলোর একটি বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো)। করোনা সংক্রমণ কমতে থাকলে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষস্থান দখল করে বেক্সিমকো লিমিটেড।
কোম্পানির শেয়ারপ্রতি দর এগিয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে গত বছরের ২১ নভেম্বরের ১৮৬ টাকা শেয়ার দর স্পর্ষ করতে গতি সঞ্জার করছে কি না, স্পষ্ট নয়! তবে বিশেষ কোন ঘটনার মুখোমুখি হতে চলেছে কোম্পানিটি। গত এক যুগেও এমন শেয়ার লেনদেন হয়নি।
নতুন করে বিপুল পরিমাণ শেয়ার লেনদেনের এমন চিত্র বলেছে নতুন কিছু ঘটনার এটি পূর্বাভাস।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২১০ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর আগে জুলাই মাসের শুরুতে পূর্বাভাস দিয়ে সপ্তাহজুড়ে ১ কোটি ১৭ লাখ ১৬ হাজার ১৪১টি শেয়ার লেনদেন হয়। টাকার হিসাবে যা ১৫৪ কোটি ৩৩ লাখ ৮৮ হাজার বা মোট লেনদেনের ৪ শতাংশ ছিল।
জুলাই মাসকে ছাড়িয়ে আগস্টে শোকের মাসে নতুন করে আভাস দিচ্ছে, তা কি এগিয়ে যেতে? তবে বিস্ময়কর, প্রায় একযুগেও বেক্সিমকোর এমন লেনদেন হয়নি। তবে পুঁজিবাজারে মহাবিপর্যয় ঘটে ২০১২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। ঠিক তার আগে ২০১১ এমন লেনদেন হয়েছিল।
ডিএসইর সপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটি ১ কোটি ৭৬ লাখ ৫৩ হাজার ৬৭১টি শেয়ার হাতবদল করেছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মালেক স্পিনিং মিলস লিমিটেড। কোম্পানিটির ২ কোটি ৩৬ লাখ ৬৬ হাজার ১৭৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৮৬ কোটি ৬১ লাখ ২৬ হাজার টাকা।
আইপিডিসি ফিন্যান্স লিমিটেড তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কোম্পানিটির ১ কোটি ৪২ লাখ ১২ হাজার ৮৬৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ২৬ হাজার টাকা।
বেক্সিমকোর ২০২০ সালের ১৮ মার্চে শেয়ারপ্রতি দর ছিল প্রায় ১২ টাকা। যদিও তার আগে ২০১১ সালের ১ আগস্ট মাসে দর ছিল ১৮৪ টাকা। এরপরে ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ধ্বসের আগে ২৪ জানুয়ারি শেয়ারপ্রতি দর কমে হয়েছিল ৮৪ টাকা।
তথ্য ও বিশ্লেষণ বিনিয়োগকারীদের কি আভাস দিচ্ছে!
পেছনের খবর : বেক্সিমকোর এমন উত্থান আগে কেউ দেখেনি!
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।