Homeখাতওয়ারী সংবাদফ্যামিলি টেক্স-আরএন স্পিনিং এবং অন্যান্য...

ফ্যামিলি টেক্স-আরএন স্পিনিং এবং অন্যান্য…

স্টাফ রিপোর্টার: ফ্যামিলি টেক্স ও আরএন স্পিনিং মিলসের ব্যবসায়িকসহ সার্বিক অবস্থা তদন্ত করতে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

চলতি বছরের ১৯ আগস্ট ৭ দিনের সময় দিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন বিএসইসিতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন জমা হলেও এখনো তা প্রকাশ করা হয়নি।

অন্যদিকে, ফ্যামিলিটেক্সের নতুন বোর্ড সদস্যদের মতে, এর বর্তমান চেয়ারম্যান নতুন বোর্ডের সাথে সহযোগিতা করছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বোর্ড সদস্য বলেন, তাই আমরা পদত্যাগ করেছি।

তিনি বলেন, বোর্ডে যোগদানের পরপরই আমরা কোম্পানিকে আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করতে বলেছিলাম, কিন্তু গত বছরেও তা করা সম্ভব হয়নি। এর আগে, বিএসইসি এমারল্ড অয়েল এবং সিএন্ডএ টেক্সটাইলের জন্য অনুরূপ পদক্ষেপ নিয়েছিল এবং দুটি কোম্পানি চালু থাকায় সফল হয়েছিল।

ফ্যামিলিটেক্সের কিছু নতুন বোর্ড সদস্য পদত্যাগ করেছেন কারণ কোম্পানির বর্তমান চেয়ারম্যান তাদের সহযোগিতা না করার অভিযোগ রয়েছে, বলে বিশেষ সূত্র জানিয়েছে। যে কারণে সংকচ আরো ঘনিভূত হচ্ছে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কোম্পানি দু’টির ব্যবসায়িকসহ সার্বিক অবস্থা নিয়ে স্টক এক্সচেঞ্জকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জের কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিএসইসি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।

২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আরএন স্পিনিং মিলসের কারখানায় গত বছরের ৮ এপ্রিল অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরে কোম্পানিটির নিট লোকসান দাঁড়ায় ৬০৭ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার টাকায়।

কোম্পানিটির নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোম্পানি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গোয়িং কনসার্ন হিসেবে এর কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। আরএন স্পিনিংয়ের স্থায়ী সম্পদ ও ইনভেন্টরি ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের বিমা সুরক্ষার আওতায় রয়েছে। অবশ্য বিমা দাবি এখনো পর্যন্ত নিষ্পন্ন হয়নি।

২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্রখাতের কোম্পানি ফ্যামিলি টেক্স ১০ টাকা ফেসভ্যালুতে ৩৪ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলন করে। উচ্চ সুদের ব্যাংক ঋণ পরিশোধের জন্য পুঁজিবাজার থেকে মূলধন উত্তোলন করেছিল কোম্পানিটি।

টানা তিন বছর ধরে লোকসানে রয়েছে কোম্পানিটি। এর মধ্যে গত বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে নামমাত্র মুনাফা করেছে কোম্পানিটি। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে বর্তমানে মাত্র ৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি ইংরেজি দৈনিকের প্রতিবেদন নিচে তুল ধরা হলো-

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সাত দিনের সর্বাধিক পঠিত