ডেস্ক রিপোর্ট: মার্কিন ডলারের বিপরীতে জাপানি ইয়েনের মান এখন ২৪ বছরের সর্বনিম্নে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে টোকিও। খবর বিবিসি।
বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বাজারের পুনরুদ্ধার হচ্ছে এমন তথ্য থেকেই ডলারের দাম চাঙ্গা হয়েছে। এক ডলারের সঙ্গে ইয়েনের বিনিময় হার দাঁড়িয়েছে ১৪০।
এশিয়ার অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলিয়ে ঋণের খরচ বাড়িয়েছে, জাপান সেই পথে হাঁটেনি। বরং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য অতি-নিম্ন সুদের হার বজায় রেখেছে ব্যাংক অব জাপান। মার্কিন ডলার ও অন্যান্য প্রধান মুদ্রার বিপরীতে ইয়েনের মূল্য হ্রাসের অন্যতম কারণও এটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন শ্রম বিভাগের প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশটিতে বেকারত্বের হার দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। যার অর্থ হলো মহামারী পরবর্তী শ্রম বাজার পুনরুদ্ধার হয়েছে।
পুরো পরিস্থিতি এখন ডলারের পক্ষে। তাই মার্কিন মুদ্রার বিপরীতে জাপানি ইয়েনের বিনিময় হার কমেছে, যা প্রায় ১৪০ দশমিক ২৩ ইয়েন। ১৯৯৮ সালের আগস্টের পর যা ডলারের বিপরীতে সর্বনিম্ন বিনিময় হার।
তবে এটিই একমাত্র বৈদেশিক মুদ্রা নয়, যা শক্তিশালী ডলারের কারণে প্রভাবিত হয়েছে। ২০১৬ সালের অক্টোবরের পর প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ পাউন্ডের মান প্রায় ৫ শতাংশ কমেছে।
ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল সম্প্রতি বলেছেন, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামী মাসগুলোতে সুদের হার বাড়াতে থাকবে। এ মন্তব্যের পর সপ্তাহের শুরুতে ডলারের গতি বাড়তে থাকে।
এ দিকে আজ শুক্রবার জাপানের অর্থমন্ত্রী শুনিচি সুজুকি বলেছেন, ইয়েনের পতন মোকাবেলায় যথাযথ পদক্ষেপ নেবে সরকার।
শুক্রবার দুপুরেও এশিয়ায় ইয়েনের মান ক্রমাগত পড়তি দিকেই রয়েছে। এ সময় ডলারের বিপরীতে দাম ছিল ১৪০ দশমিক ৩৫ ইয়েন।
সর্বশেষ ২০১১ সালে ভূমিকম্প ও সুনামির কারণে ফুকুশিমা পারমাণবিক সংকট শুরু হওয়ার পর মুদ্রা বাজারে হস্তক্ষেপ করেছিল ব্যাংক অব জাপান।