Homeখাতওয়ারী সংবাদআরএকে সিরামিকসের বিরুদ্ধে অভিযোগ

আরএকে সিরামিকসের বিরুদ্ধে অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি আরএকে সিরামিকসের বিরুদ্ধে ৩৩ একর জমি কেনার সময় নয়-ছয় করার অভিযোগ করেছেন এক ব্যক্তি।

অভিযোগ পাওয়া পর কোম্পানিটির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সে ব্যাখ্যা দিয়েছে আরএকে সিরামিকস।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরএকে সিরামিকসের কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, বেনামি অভিযোগের আসলে কোনো ভিত্তি থাকে না। এ ধরনের অভিযোগের জবাব দেয়ার কোন সুযোগ নেই। কেউ যদি অভিযোগ করে, তাহলে তাদেরকেই অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। আমরা খুবই কমপ্লায়েন্ট কোম্পানি। আমরা আমাদের জমি কেনার প্রক্রিয়ায় সব কিছু কম্প্লাই করেছি। বিষয়গুলো বিস্তারিত আমরা পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে জানিয়েছি।

গত জুনে আরএকে সিরামিকস উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।

উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ গাজীপুরের ধানুয়া বাটুলিয়াতে ৩৩ দশমিক ৯১ একর জমি কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। জমির দাম ধরা হয় ৬২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার মত।

এ ক্ষেত্রে প্রতি বিঘা জমির দাম ধরা হয়েছে ১ কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকার মত।

আর এই খবরের পরে জমির দাম নিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে চিঠি লিখেছেন সেই ব্যক্তি। তবে তিনি তার নাম পরিচয় জানাননি।

বেনামি অভিযোগটিকে আমলে নিয়ে বিএসইসি আরএকে সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পরিচালনা পর্ষদের কাছে এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক নথিপত্রসহ ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল।

বেনামী সে ব্যক্তি অভিযোগ করেন, আরএকে সিরামিকসের পরিচালনা পর্ষদ বর্তমান দামের চেয়ে বেশি দামে জমি কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে বিষয়টি বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের মতই।

একইসঙ্গে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটাও ঠিক নয়। কারণ সরকার এখন শুধুমাত্র ইকোনমিক জোনে গ্যাস সরবরাহ দিচ্ছে। অন্য কোথাও নতুন গ্যাস সংযোগ দিচ্ছে না। তাই ওই এলাকাতে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেও সেখানে কোনোদিন গ্যাস সংযোগ পাবে না। ফলে নতুন এ জমির উপর কোম্পানিটির নতুন কারাখানায় উত্পাদনে যাওয়া সম্ভব হবে না।

আরএকে সিরামিকস দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১০ সালে। কোম্পানিটি বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে।

দেশের পুঁজিবাজারে কোম্পানিটির মোট ৪২ কোটি ৭৯ লাখ ৬৮ হাজার ৭০১টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে আছে ৭২ দশমিক ০৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৫ দশমিক ৯১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ১২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সাত দিনের সর্বাধিক পঠিত