Homeবিএসইসিপুঁজিবাজারের ১১ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করলো বিএসইসি

পুঁজিবাজারের ১১ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করলো বিএসইসি

স্টাফ রিপোর্টার : সোমবার, ১০ অক্টোবর ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পুরস্কার’ বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, পুঁজিবাজারে যাতে কোনো অনিয়ম না হয়, বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের অর্থ নিরাপদ থাকে সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। বিনিয়োগ নিরাপদ না থাকলে কেউ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে আসবে না।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।  রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল- ইসলাম।

অনুষ্ঠানে ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি- এই তিন ক্যাটাগরিতে ১১ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।

তাজুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বলেন, স্বাধীনতার পর ৫০ বছরে আমাদের মাথা পিছু আয় প্রায় ৩ হাজার ডলারে উন্নীত হয়েছে। এর সিংহভাগই বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অবদান। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর খাদ‍্য উৎপাদনে জোর দিয়েছিলেন।

বতর্মানে দেশ খাদ‍্যে স্বয়ংসম্পূর্ন। এছাড়াও ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর অর্থনীতির সবখাতে জোর দিয়েছেন। এরমধ্যে বিদ‍্যুৎ, আইটি, কৃষি এবং অন‍্যান‍্য শিল্লখাত। তিনি বতর্মানে দেল ডিজিটাল হয়েছে। তথ‍্যপ্রযুক্তিতে উন্নয়ন। এর নেপথ‍্যে ছিল শেখ হাসিনার সাহসী এবং দুরদর্শী সিদ্ধান্ত। আর জন‍্য জাতির প্রতি প্রতিশ্রুতি দরকার।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, কোম্পানিগুলোর মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা বাড়াতে এই আয়োজন। এর ফলে কোম্পানিগুলোর দক্ষতা বাড়বে। যা দীর্ঘমেয়াদে আমাদের জাতীয় লক্ষ‍্য পূরণে সহায়তা করবে। তিনি বলেন আমাদের লক্ষ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে যাওয়া। আর শেয়ারবাজার উন্নত হলেই এটি সম্ভব।

পুঁজিবাজারে কর্মরত বাজার মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে প্রতি ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ কর্মদক্ষ তিনটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেয়া হয়। এগুলো হলো – স্টক ব্রোকার ও ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংকার এবং অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি।

এরমধ‍্যে স্টক ব্রোকার ও স্টক ডিলার ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ। দ্বিতীয় লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ। তৃতীয় হয়েছে গ্রীন ডেল্টা সিকিউরিটিজ।

মার্চেন্ট ব্যাংকার ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে আইসিবি ক্যাটিপাল ম্যানেজমেন্ট ও ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট। দ্বিতীয় সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস ও সন্ধানী লাইফ ফাইন্যান্স। তৃতীয় লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট।

সম্পদ ব্যবস্থাপনা ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট । দ্বিতীয় অ্যালায়েন্স ক্যাপিটাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট এবং তৃতীয় আইডিএলসি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট।

গত ১৬ নভেম্বর বিএসইসির কমিশন সভায় এই পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর উদ্দেশ্য হলো- পুঁজিবাজারে কর্মরত বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন, সব কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

পুঁজিবাজারে কর্মরত জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধি, বিনিয়োগকারীদের সেবার মান বাড়ানো এবং দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম প্রসারসহ পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও গতিশীলতা আনাও এই উদ্যোগের একটি লক্ষ্য।

সলীম উল্লাহ বঙ্গবন্ধুর উপর একটি স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। তিনি বলেন, শেয়ারবাজারের কারণে আমরা অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। কোম্পানিগুলো ভালোভাবে কাজ করলে উন্নয়ন আরও তরান্বিত হবে।
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সাত দিনের সর্বাধিক পঠিত