সকল মেনু

খেলাপির পথে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদেশী ঋণ

ডেস্ক রিপোর্ট: বিদেশী উৎস থেকে দেশের বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর নেয়া ঋণ খেলাপি হওয়ার পথে রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হতে শুরু করেছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা।

আবার উদ্যোক্তারা চাইলেও মধ্যস্থতাকারী দেশী ব্যাংকগুলো ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছে না। টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধির পাশাপাশি রিজার্ভে মার্কিন মুদ্রাটির সংকটের কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

বিদেশীদের কাছে খেলাপি হওয়া থেকে বাঁচতে এরই মধ্যে ঋণের মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়েছেন কেউ কেউ। ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান মেয়াদ বাড়াতে রাজি না হলে অন্য বিদেশী প্রতিষ্ঠান থেকে বেশি সুদে ঋণ নিয়ে দায় সমন্বয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিদ্যুতের পাশাপাশি রফতানি নেই এমন খাতের অন্য ব্যবসায়ীদের নেয়া বিদেশী ঋণও এখন খেলাপি হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে বিদেশী ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৯৫ কোটি বা প্রায় ২৬ বিলিয়ন ডলার। বিপুল এ বিদেশী ঋণের ৬৮ শতাংশের মেয়াদই স্বল্পমেয়াদি। বেসরকারি খাতে দীর্ঘমেয়াদি বিদেশী ঋণের পরিমাণও ৮১৯ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ৪১০ কোটি ডলারই নিয়েছেন বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীরা। জ্বালানি খাতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদি বিদেশী দায় যোগ করে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৩৩ কোটি ডলারে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্যোক্তারা বলছেন, সরকার বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বিল পরিশোধ করতে পারছে না। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে উদ্যোক্তাদের পাওনা বকেয়া বিলের পরিমাণ ১৭ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ডলার সংকট ও ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি। এ কারণে উদ্যোক্তারা চাইলেও যথাসময়ে বিদেশী ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না।

বিদেশী ঋণ নিয়ে বিদ্যুৎ খাতের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে রয়েছে বলে জানালেন বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইপিপিএ) সভাপতি ইমরান করিম।

তিনি বলেন, করোনার কারণে সঠিক সময়ে অনেক ঋণপত্রের (এলসি) দায় পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। ওই সময়ের অনেক এলসির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশে ডলারের সংকট চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু ডলারের জোগান দিলেও তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। এ কারণে আমরা চাইলেও বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর নেয়া বিদেশী ঋণ সঠিক সময়ে পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হারও গত এক বছরে অন্তত ২৫ শতাংশ বেড়েছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বিদেশী ঋণ গ্রহণকারী ব্যবসায়ীদের অনুকূলে নেই।

বিপিডিবি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে কেনা বিদ্যুতের বিল যথাসময়ে পরিশোধ করছে না বলে এ সময় অভিযোগ করেন কনফিডেন্স পাওয়ার রংপুর লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান ইমরান করিম।

তিনি বলেন, সরকারের কাছে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর পাওনার পরিমাণ প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকায় ঠেকেছে। যথাসময়ে বিদ্যুৎ বিক্রির অর্থ না পাওয়ায় বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সংকট বেড়ে যাচ্ছে। যেসব বিদেশী ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ নেয়া হয়েছে, সেগুলোর মেয়াদ বাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। এর মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান নিজ থেকেই মেয়াদ বাড়িয়ে দিচ্ছে। তবে কিছু প্রতিষ্ঠান মেয়াদ না বাড়ানোয় বিকল্প উপায়ে ঋণ পরিশোধ করা হচ্ছে।

বিদ্যমান পরিস্থিতিকে ‘ভয়ংকর’ বলে মনে করছেন বেসরকারি খাতে বিদেশী ঋণ জোগানে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় থাকা দেশী ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীরা। তারা বলছেন, ব্যাংকগুলোর ডলারের চাহিদা আর জোগানের মধ্যে প্রতিদিনই বড় ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে, ঘাটতিও তত বড় হচ্ছে।

রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় থেকে সংগৃহীত ডলার দিয়ে ব্যাংকের আমদানি এলসি দায়ই পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের নেয়া বিদেশী ঋণের কিস্তি। বিদেশী ঋণ নেয়া অনেক ব্যবসায়ী ব্যাংকের নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করছেন না। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ডলারে ঋণ পরিশোধের চাপ। সব মিলিয়ে পরিস্থিতিকে কোনোভাবেই ব্যাংকের অনুকূলে বলা যায় না।

প্রায় একই কথা বলেছেন বিদেশী ঋণের মধ্যস্থতাকারী অন্তত ছয়টি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে তাদের কেউই নিজেদের নাম উদ্ধৃত করে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। একজন শীর্ষ নির্বাহী বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ অন্য খাতের বিদেশী ঋণ নেয়া উদ্যোক্তারা প্রভাবশালী। তাদের বিরুদ্ধে যায় এমন কোনো মন্তব্য করা বিপজ্জনক। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকও ডলার সংকট নিয়ে কথা বলাকে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখে। প্রকৃত পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার কারণে অনেক শীর্ষ নির্বাহীকে সতর্কও করা হয়েছে।

গত পাঁচ বছরে বিদেশী উৎস থেকে সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতেই ঋণ বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিদেশী উৎস থেকে দেশের মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ৪৫ দশমিক ৮১ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৫৮১ কোটি ডলার। আর চলতি বছরের জুন শেষে বিদেশী এ ঋণের পরিমাণ ৯৫ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন (৯ হাজার ৫৮৫ কোটি) ডলার ছাড়িয়ে যায়। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশী মুদ্রায় এ ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশিতে, যা দেশের মোট জিডিপির প্রায় ২২ শতাংশ। বিপুল অংকের এ ঋণের ৭৩ শতাংশ সরকারের। বাকি ২৭ শতাংশ ঋণ নিয়েছে বেসরকারি খাত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পাঁচ বছর আগে দেশের বেসরকারি খাতে বিদেশী ঋণের পরিমাণ ছিল ১২ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু চলতি বছরের জুন শেষে বিদেশী এ ঋণের পরিমাণ ২৫ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৫৯৫ কোটি ডলারে গিয়ে ঠেকেছে। বাংলাদেশী মুদ্রায় বেসরকারি খাতে বিদেশী এ ঋণ ২ লাখ ৭২ হাজার কোটি টাকারও বেশি (প্রতি ডলারের বিনিময় হার ১০৫ টাকা হিসাব করে)। বিপুল অংকের এ ঋণের অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলার নেয়া হয়েছে করোনা মহামারীর দুই বছরে। ব্যক্তি খাতের কোম্পানিগুলোর নেয়া বিদেশী ঋণের ৬৮ শতাংশই স্বল্পমেয়াদি।

বেসরকারি খাতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি বিদেশী ঋণের উল্লেখযোগ্য অংশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের। এর মধ্যে ৪১০ কোটি ডলার নিয়েছেন বিদ্যুৎ খাতের ব্যবসায়ীরা। বিদ্যুৎ কোম্পানি ছাড়াও রফতানি আয় নেই এমন অনেক শিল্পোদ্যোক্তা বিদেশী বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিয়েছেন। কিন্তু ডলারের সংকট ও দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়ছেন।

আবার অনেক ব্যবসায়ী ক্ষতির অজুহাতে বিদেশী ঋণ পরিশোধে বিলম্ব করতে চাচ্ছেন। এ অবস্থায় অফশোর ইউনিটের মাধ্যমে ঋণের অর্থ জোগানদাতা ব্যাংকগুলোও বিপদে পড়েছে। আর বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) মাধ্যমে সরাসরি বিদেশী ঋণ নিয়ে আসা কোম্পানিগুলোও যথাসময়ে কিস্তি পরিশোধ করা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে।

বেসরকারি খাতে বিদেশী ঋণ আনার ক্ষেত্রে মধ্যস্থতার ভূমিকা রেখেছে পূবালী ব্যাংকও। সম্প্রতি বেসরকারি এ ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী শফিউল আলম খান চৌধুরী অবসরে গিয়েছেন। জানতে চাইলে অভিজ্ঞ এ ব্যাংকার বলেন, বিদ্যুৎসহ রফতানি আয় নেই এমন খাতের ব্যবসায়ীরা বিদেশী ঋণ নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিপদে আছেন। কিছু ব্যবসায়ী মেয়াদ বাড়িয়ে ঋণ নিয়মিত রাখার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ এক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোধ করছেন। তবে এভাবে দীর্ঘ সময় বিদেশী ঋণ নিয়মিত রাখা সম্ভব হবে না। বিদেশী ঋণ খেলাপি হলে দেশের পুরো ব্যাংক খাতেরই ভাবমূর্তি সংকটে পড়বে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি খাতে ২ হাজার ৫৯৫ কোটি ডলার বিদেশী ঋণের মধ্যে ৮১০ কোটি ডলার দীর্ঘমেয়াদি। দীর্ঘমেয়াদি ঋণের পাশাপাশি ট্রেড ক্রেডিট হিসেবে বিদেশী বিভিন্ন উৎস থেকে এ ঋণ নেয়া হয়েছে। আর বেসরকারি খাতে বিদেশী ঋণের ১ হাজার ৭৭৫ কোটি ডলারের মেয়াদ স্বল্প। এ ঋণের মধ্যে ১ হাজার ১৯৬ কোটি ডলারের ধরন হলো ট্রেড ক্রেডিট। বায়ারস ক্রেডিট, ডেফারড পেমেন্ট, ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি হিসেবে এসব ঋণ নিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ীরা। এছাড়া স্বল্পমেয়াদি ঋণ হিসেবে ৫০৩ কোটি ডলারের ঋণ বিদেশী উৎস থেকে নেয়া হয়েছে।

অফশোর ইউনিটের মাধ্যমে দেশের বেসরকারি খাতে যেসব বিদেশী ঋণ এসেছে, তার দায়ভার সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বলে মনে করছেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, গ্রাহকরা বিদেশী ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলেও তহবিল জোগানদাতা ব্যাংককে সেটি পরিশোধ করে দিতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাবে। এ কারণে বিদেশী তহবিল সংগ্রহ এবং সেটির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে আরো বেশি সতর্ক হতে হবে। আবার যথাসময়ে ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে গ্রাহকদেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

দেশের বেসরকারি খাতে দীর্ঘমেয়াদি যে বিদেশী ঋণ এসেছে তার অর্ধেকই বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি তেল খাতে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি বিদেশী ঋণের পরিমাণ ছিল ৮১৯ কোটি ডলার। এর মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দীর্ঘমেয়াদি বিদেশী ঋণ ৪৩৩ কোটি ডলার।

এর বাইরে বিভিন্ন ধরনের উৎপাদনমুখী শিল্পে দীর্ঘমেয়াদি বিদেশী ঋণ এসেছে ১৪৬ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। এছাড়া নির্মাণ খাতে ৩০ কোটি ৪৩ লাখ ডলার, ট্রেড অ্যান্ড কমার্স খাতের জন্য ব্যাংক ও এনবিএফআইগুলোয় ১৬৫ কোটি, যানবাহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় ৪০ কোটি এবং সেবা খাতে ৩ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের বিদেশী ঋণ এসেছে।

যেকোনো বিদেশী ঋণ যথাসময়ে পরিশোধে ব্যর্থতা দেশের জন্য বিপদের কারণ হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, বিদেশী ঋণ নেয়া কোম্পানিগুলো পরিশোধের মেয়াদ বাড়িয়ে পুনঃতফসিল করার চেষ্টা করছে। কিছু প্রতিষ্ঠান ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়িয়েও দিচ্ছে। তবে বিদেশী অনেক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তাদের ঋণ পুনঃতফসিল করবে না। কারণ যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দেশগুলোয় সুদহার এখন ঊর্ধ্বমুখী। কোনো প্রতিষ্ঠান বিদেশী ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে সেটি দেশের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে অস্থিরতার কারণে গত এক বছর ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। ২০২১ সালের অক্টোবরে দেশে প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ৮৫ টাকা। গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত দর ছিল ১০৫ টাকা ৬৬ পয়সা। যদিও দেশের খুচরা বাজারে এ দরে ডলার মিলছে না। কার্ব মার্কেটে প্রতি ডলারের জন্য গুনতে হচ্ছে ১১৫ টাকারও বেশি। স্বল্প সময়ে টাকার অস্বাভাবিক এ অবমূল্যায়নের ফলে বিদেশী উৎস থেকে ডলারে ঋণ নেয়া ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমাণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top