স্টাফ রিপোর্টার: সবচেয়ে বেশি নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি স্কয়ার টেক্সটাইল। কোম্পানিটির আয় গত বছরের তুলনায় ২৯১ শতাংশ বেড়েছে। যে কারণে গত এক যুগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় করে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।
আগের বছরের তুলনায় প্রায় তিন গুণ আয় করে ৩৫ শতাংশ অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি সাড়ে তিন টাকা নগদ লভ্যাংশ দিতে যাচ্ছে কোম্পানিটি।
বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রুপের অপর প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মার কোম্পানি সচিব খন্দকার হাবিবুজ্জামান।
২০১৬ সালের পর এই প্রথম কোম্পানিটি ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করল। ওই বছর এই লভ্যাংশের মধ্যে ২৫ শতাংশ ছিল নগদ আর বোনাস শেয়ার ছিল ১০ শতাংশ। এবারই প্রথমবারের মতো এত বেশি নগদ লভ্যাংশ দিল কোম্পানিটি।
কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ১৯ কোটি ৭২ লাখ ৫২ হাজার। এই হিসেবে তারা লভ্যাংশ বিতরণ করবে ৫৯ কোটি ৩ লাখ ৯২ হাজার টাকা।
২০০২ সালে তালিকাভুক্ত স্কয়ার টেক্সটাইল এ নিয়ে টানা চতুর্থ বছর কেবল নগদ লভ্যাংশ দিল। এর মধ্যে ২০১৯ ও ২০২১ সালে ২০ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি ২ টাকা আর ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা বা ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়া হয়।
এর আগ পর্যন্ত প্রথমে বোনাস এবং পরে নগদ ও বোনাস মিলিয়ে লভ্যাংশ দিয়ে আসছিল কোম্পানিটি।কোম্পানিটির আয় গত বছরের তুলনায় ২৯১ শতাংশ বেড়েছে।
২০২১ সালে তাদের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ৩ টাকা ৪১ পয়সা। সেটি বেড়ে এবার হয়েছে ৯ টাকা ৯৩ পয়সা।
এবার আয় যে বাড়তে যাচ্ছে, সেটি প্রতিটি প্রান্তিক প্রতিবেদনেই স্পষ্ট হয়। প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৩০ পয়সা, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২ টাকা ৩৮ পয়সা, তৃতীয় প্রান্তিকে ২ টাকা ৪৭ পয়সা এবং চতুর্থ প্রান্তিকে ২ টাকা ৭৮ পয়সা আয় হলো।
আয়ের পাশাপাশি কোম্পানিটির সম্পদমূল্যেও দিয়েছে লাফ। গত জুন শেষে শেয়ারপ্রতি ৪৬ টাকা ৬২ পয়সা সম্পদমূল্য ছিল কোম্পানিটির, যা এক বছর আগে একই সময়ে ছিল ৩৮ টাকা ৬৯ পয়সা।
কোম্পানিটি তাদের ব্যবসা বাড়াতে ৩৮ কোটি টাকায় কারখানা আধুনিকায়নের সিদ্ধান্তও নিয়েছে।
যারা এবারের লভ্যাংশ নিতে চান তাদের আগামী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত শেয়ার ধরে রাখতে হবে। সেদিনই এর রেকর্ড ডেট ঠিক করা হয়েছে। এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম ডাকা হয়েছে আগামী ২৪ ডিসেম্বর।