স্টাফ রিপোর্টার: কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের আয়ে ধস নেমেছে। আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০২২ সালে আয় কমেছে ৬১ শতাংশের বেশি। ফলে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোম্পানির ইতিহাসের সর্বনিম্ন লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে।
৩০ জুনে শেষ হওয়া অর্থবছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ১ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বা শেয়ার প্রতি ১৫ পয়সা দেবে কোম্পানি। সোমবার কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ব্যাপকহারে কোম্পানির আয় কমে যাওয়াই এমন লভ্যাংশের কারণ। অর্থবছর শেষে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৯ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ১ টাকা ২৬ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরে কোম্পানিটির আয় কমেছে ৭৭ পয়সা বা ৬১ দশমিক ১১ শতাংশ।
একই সময়ে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৬৪ পয়সা।
কোম্পানিটির আয় কমার প্রবণতা এবারই প্রথম নয়। ২০২১ সালের আগের চার বছরও এই প্রবণতা দেখা গেছে। ২০১৭ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে আয় কমেছে, ওই বছর কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজের ইপিএস ছিল ২ টাকা ১৫ পয়সা।
পরের বছর প্রায় অর্ধেক কমে দাঁড়ায় ১ টাকা ৫১ পয়সায়। পরের দুই বছরেও আয় কমেছে। ২০১৯ সালে ৮৩ পয়সা ও ২০২০ সালে ৭০ পয়সা আয় হয়েছিল।
আয় কমার কারণে যে লভ্যাংশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এর চেয়ে কম লভ্যাংশ এর আগে কখনও দেয়নি কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ।
২০২১ সালে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ বা প্রতি ১০০টি শেয়ারের বিপরীতে ১০টি করে শেয়ার পেয়েছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তার আগের দুই বছর অর্থাৎ ২০১৯ ও ২০২০ সালে ৫ শতাংশ নগদ বা শেয়ারপ্রতি ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানি।
লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম এবং রেকর্ড ডেট চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে নভেম্বর বা ডিসেম্বরে ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে এজিএম হবে বলে জানানো হয়েছে।