সকল মেনু

বিডি থাই ফুডের আইপিও অর্থ ব্যবহারে নতুন পরিকল্পনা

সিনিয়র রিপোর্টার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিকের পারিবারিক কোম্পানি বিডি থাই ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অর্থ ব্যবহারে এরই মধ্যে একবার পরিবর্তন আনা হয়েছে, যাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অনুমোদনও দিয়েছে।

এবার সেই পরিবর্তিত আইপিও অর্থ ব্যবহার পরিকল্পনায় আরেকবার পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। পাশাপাশি কোম্পানিটির অনুমোদিন মূলধনও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের কোম্পানিটি। তথ্যানুসারে, গতবছরের ৩ অক্টোবর বিএসইসির ৭৯৩তম কমিশন সভায় বিডি থাই ফুডের আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়। আইপিও প্রসপেক্টাসে অনুমোদিত অর্থ ব্যবহার পরিকল্পনায় এ বছরের ৯ মে অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) অনুমোদন নেয়া হয়। যাতে এরই মধ্যে বিএসইসিও অনুমোদন দিয়েছে।

তবে বিশ্ববাজারে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ণ হওয়ায় অনুমোদিত পরিকল্পনা অনুসারে যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য মালামাল কিনতে কোম্পানিটির ৩৫ শতাংশ বেশি অর্থ হবে। তাই আরেকবার আইপিও অর্থ ব্যবহার পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

পাশাপাশি বিডি থাই ফুডের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩০ কোটি টাকায় উন্নিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। এসব সিদ্ধান্তে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে চলতি বছরের ১৪ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ৩টায় ইজিএম আহবান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ধরা হয়েছে ২০ নভেম্বর।

চলতি বছরে ২৪ জানুয়ারি পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করে বিডি থাই ফুড অ্যান্ড বেভারেজ। কোম্পানিটির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে বর্তমান পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ৮১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৩২ কোটি টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৮ কোটি ১৫ লাখ।

এর মধ্যে ৪৯ দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে এর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। এছাড়া ২৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ২৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

সর্বশেষ প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৯ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪০ পয়সা। আর তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১৪ পয়সা।

আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৬ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২২ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৪৪ পয়সায়। তালিকাভুক্তির পর এখন পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ দেয়নি।

ডিএসইতে আজ কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৪০ টাকা ৮০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ১১ টাকা থেকে ৫৩ টাকার মধ্যে লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top