রাহেল আহমেদ শানু: ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার দরে স্থিতি নেমে এসেছে। বিশাল ঝড়ের পরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ারপ্রতি দর ১০৪৭ টাকায় স্থির।
অপরদিকে, কোম্পানির ঘোষিত ২০২১ সমাপ্ত হিসাব বছরে ২৫০ শতাংশ নগদ বা প্রতি শেয়ারে ২৫ টাকা লভ্যাংশ বুধবার বিনিয়োগকারীদের হিসাবে পাঠিয়েছে। এমন তথ্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করেছে কোম্পানির কতৃৃপক্ষ।
কোম্পানির রেকর্ড ডেটের পর এবং চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে পুঁজিবাজারে তারল্য ঘাটতি শুরু হলে ফান্ডমেন্টাল কোম্পানির শেয়ার লেনদেন প্রায় বন্ধ রাখেন বিনিয়োগকারী; যে কারণে উড়তে থাকা শেয়ার দরে স্থিতি নেমে আসে। এদিকে, ডিএসইতে বুধবার শেয়ার দর হল্ট হয়েছে।
যা নতুন কিছুর আভাস দিচ্ছে বা ঝড়ের পরে ঊদ্ধমূখী হওয়ার পূর্বাভাস বলা যেতে পারে।
অন্যদিকে, দরের পূর্বাভাসে নেমে আসারও কারণ রয়েছে। ২০২২ তারিখে সমাপ্ত হিসাব বছরের কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) হয়েছে ৪০ টাকা ১৬ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৫৪ টাকা ২১ পয়সা।


বৃদ্ধির পূর্বাভাস হিসেবে দুই বছর আগে ডিএসইসে তালিকাভুক্ত হওয়া ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ মাত্র ১ শতাংশ শেয়ার ছেড়েছে। ২ বছরের মধ্যে ৯ দশমিক ০৩ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে। এর বড় অংশই সরাসরি বাজারে বিক্রি হবে। এছাড়া কিছু শেয়ার ট্রাস্টের নামে স্থানান্তর এবং কিছু উদ্যোক্তাদের ও স্বজনদেরকে উপহার হিসেবে দেওয়া হবে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ওয়ালটনসহ তিনটি কোম্পানিকে এক বছরের মধ্যে বাজারে ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের সংখ্যা বাড়িয়ে ন্যুনতম ১০ শতাংশে উন্নীত করার নির্দেশ দিয়েছিল বিএসইসি। অন্য কোম্পানি দুটি হলো- ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এবং বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ।
সেই আলোকে সম্প্রতি কোম্পানিটির পক্ষ থেকে এমন একটি পরিকল্পনাপত্র বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) জমা দেওয়া হয়েছে।
বিএসইসির নির্দেশের আলোকে ওয়ালটনের পক্ষ থেকে শেয়ার ছাড়ার আলোচিত পরিকল্পনাটি জমা দেওয়া হয় বিএসইসির কাছে। অবশ্য এটি পরিমার্জিত প্রস্তাব বা পরিকল্পনা। কোম্পানির পক্ষ থেকে এর আগেও একটি প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছিল। প্রস্তাবে ৩ বছরের মধ্যে ৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ শেয়ার ছেড়ে ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের সংখ্যা ৫ শতাংশে উন্নীত করার কথা বলা হয়েছিল।
সেদিক থেকেও বিশেষ সম্ভাবনার আলো আসছে।