স্টাফ রিপোর্টার: সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ সবসময় সুরক্ষিত থাকে। তাই আপনাদের পোর্টফোলিওর একটি অংশ সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে পারেন৷ বিনিয়োগকারীদের এমন পরামর্শ দিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, পূর্বে আমাদের পুঁজিবাজারে সরকারি সিকিউরিটিজ না থাকায় বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ ঝুঁকি অনেক বেশি ছিল৷ আব্দুর রউফ তালুকদার গভর্নর নিযুক্ত হওয়ার পর সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেনে ভিন্ন মাত্রার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
বুধবার (৩ নভেম্বর) সরকারি সিকিউরিটিজ লেনদেনকে গতিশীল করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাইমারি ডিলারদের অংশগ্রহণে ‘স্টক এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মে সরকারী সিকিউরিটিজের লেনদেন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম. সাইফুর রহমান মজুমদারের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক এম আনোয়ার হোসেন, সিডিবিএল -এর মহাব্যবস্থাপক মাইনুল হক এবং ডিএসই’র প্রোডাক্ট এন্ড মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান সাইদ মাহমুদ জুবায়ের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই উদ্ভাবনী ও দূরদর্শী চিন্তা চেতনায় শেয়ারবাজারকে অধিকতর সম্প্রসারণ করতে বৈচিত্র্য আনতে কাজ করছে৷ এরই ধারাবাহিকতায় সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেনে গতি আনতে স্টক এক্সচেঞ্জসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে বৈঠক করেছে কমিশন।
আব্দুর রউফ তালুকদার বংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নর হিসেবে দায়িত্বে আসার পর সরকারি সিকিউরিটিজ লেনদেনে নতুন করে গতি পেয়েছে।
বিএসইসির এই কমিশনার বলেন, সরকারি সিকিউরিটিজ ২০দিনে মাত্র ৮টি লেনদেন হয়েছে৷ কারণ অনুসন্ধানে দেখা গেছে চাহিদার ও যোগানের মধ্যে একটা পার্থক্য বা গ্যাপ রয়েছে৷ সমস্যা হল সঠিক প্রচারণার মাধ্যমে চাহিদা তৈরী করা হয়নি৷ যার ফলশ্রুতিতে প্রথম দিনের লেনদেনের পরেই বিও আইডি দিয়ে লেনদেন করতে হলে বিএসইসি ও ডিএসইর অনুমোদন নিতে হবে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। যার আসলে কোন ভিওি নেই৷
তিনি বলেন, শেয়ারবাজারের অন্যান্য লেনদেনের মতই একই পদ্ধতিতে এক্ষেত্রেও লেনদেন হয়৷ চাহিদা তৈরী করতে আমাদের অনেক প্রচারণামূলক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। বাংলাদেশে ব্যাংকের দেয়া একটা বন্ড ব্যর্থ হওয়ার কোন কারণ নেই৷ এটা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সঠিক প্রচারণার মাধ্যমেই বুঝাতে হবে৷
ড. শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থাও নিয়েছি৷ যার ধারাবাহিকতায় বিআইসিএম, ডিএসই এবং সিএসইও প্রশিক্ষণ প্রদান করছে৷ এক্ষেত্রে লেনদেনের পদ্ধতি সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ যদি দেয়া যায়, তাহলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবেন৷
বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক এম. আনোয়ার হোসেন বলেন, সরকারি সিকিউরিটিজ লেনদেনের ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রস্তুত।