ডেস্ক রিপোর্ট : বিনিয়োগ একটি জার্নি। বিনিয়োগ করার আগে আমাদের লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। সঞ্চয় করা অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করলে ব্যাংকের চেয়ে বেশি মুনাফা পাওয়া যায়। তবে সব জায়গায় বিনিয়োগ করা যাবে না বলে মন্তব্য করছেন রয়্যাল ক্যাপিটালের বিভাগীয় প্রধান আকরামুল আলম।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ফাইন্যান্সিয়াল প্ল্যানিং অ্যান্ড ওয়েলথ ক্রিয়েশন’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রয়্যাল ক্যাপিটাল লিমিটেডের রায় সাহেব বাজার শাখার ব্যবস্থাপক অপূর্ব কুমার দাশ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মাসরিক হাসান এবং প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যান্ড ট্রেইনিংয়ের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ রাকিবুল হোসেন।
আকরামুল আলম বলেন, বিনিয়োগের জন্য কিভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, সেটা না জানলে সমস্যা হয়। অধীকাংশ মানুষের আয় সীমিত। তাই সঞ্চয়ের টাকা থাকলে স্বপ্ন পূরণ কিছুটা সম্ভব হয়। এসব সঞ্চয় বিনিয়োগ করার আগে লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। যে কোনো যায়গায় বিনিয়োগ করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, ইনভেস্টমেন্টের রিটার্ন, লিকুইডিটি এবং সিকিউরিটি এই তিনটি পিলারের দিকে নজর দিতে হবে। সেভিং স্কিমস, স্টক, বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। পুঁজিবাজারে খারাপ শেয়ার আছে আবার ভালো শেয়ারও আছে।
এছাড়াও তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকে গ্রথ স্টক ও ভ্যালু স্টক দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এছাড়া এখানে ইনভেস্ট করলে ট্যাক্স সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। তবে ফান্ডের উপর ভিত্তি করে প্রোটফোলিওতে ডাইভারসিফিকেশন আনা উচিৎ। একটি খাতের ১ থেকে ২টি শেয়ার ক্রয় করা উচিত। এছাড়া তালিকায় সাইক্লিক্যাল ও নন-সাইক্লিক্যাল শেয়ার থাকা দরকার।
রয়েল ক্যাপিটালের এই কর্মকর্তা বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২৮টি ব্যাংকের নন পারফর্মিং লোন (এনপিএল) বেশি। এরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম মানছে না। ট্রেজারি বন্ড বিক্রির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি সচল রাখা হয়। বন্ড লেনদেন করতে হলে ইয়েল্ড কার্ভ বুঝতে হবে। এছাড়া আইপিওতে বিনিয়োগ করলে অনেক ভালো মুনাফা পাওয়া যায়। যারা সেকেন্ডারি মার্কেটে রিস্ক নিতে চায় না তারা আইপিওতে আসতে পারে।
এসয় রাকিবুল হোসেন বলেন, গত ৭ বছরে মাত্র ১টি ইক্যুইটি আন্ডার সাবসক্রিপশন হয়েছে। একই সময়ে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ড আন্ডার সাবস্ক্রাইব হয়েছে। বাকিগুলো ওভার সাবসক্রিপশন হয়েছে। আইপিওতে বিনিয়োগ করলে বেশি লাভ করা যায়। আইপিওতে ৫০ শতাংশ, ১০০ শতাংশ লাভ করা যায়, এমনকি ২০০ শতাংশ পর্যন্ত লাভ করা যায়। তবে আইপিওর শেয়ার দীর্ঘমেয়াদে ধরে রাখার জন্য এ্যানালাইসিস করা দরকার।
এছাড়াও তিনি দেশের শেয়ারবাজারের সার্বিক দিক নিয়ে আলোচনা করেন। ডিএসইর অ্যাপসের মাধ্যমে কিভাবে সহযে লেনদেন করা যায় তাও আলোচনায় উঠে আসে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।