Homeএজিএম/ইজিএমনতুন আইনে ‘ঘোষিত লভ্যাংশ বিএসইসি অনুমোদন দিলে উঠবে এজিএমে’

নতুন আইনে ‘ঘোষিত লভ্যাংশ বিএসইসি অনুমোদন দিলে উঠবে এজিএমে’

সিনিয়র রিপোর্টার: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কিছু কোম্পানির ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের ক্ষেত্রে নীতিমালা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আগে ঘোষিত লভ্যাংশ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে জানাতে হবে। তবে এখন থেকে কোম্পানির পর্ষদের ঘোষিত লভ্যাংশ আগে বিএসইসির অনুমোদন লাগবে এবং পরে তা এজিএমে উঠবে। তবে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির ক্ষেত্রে এই নিয়ম পরিপালিত হবে না।

নতুন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, কোম্পানি বোনাস শেয়ার ঘোষণা করলে বার্ষিক সাধারণ সভার আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে বোনাস শেয়ারের অনুমোদন নিতে হবে।

তিনি বলেন, আগে বার্ষিক সাধারণ সভায় লভ্যাংশ অনুমোদন হলে পরে বিএসইসি অনুমোদন দিত। কিন্তু বিষয়টি কোম্পানি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ কোম্পানি আইন অনুযায়ী শেয়ারহোল্ডার কোম্পানির সবকিছু।

তাই পরিবর্তিত হয়েছে। এখন থেকে লভ্যাংশের অনুমোদন বিএসইসি আগে দেবে এবং পরে এজিএমে উঠবে।

প্রচলিত নিয়মে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের কি পরিমাণ ডিভিডেন্ড দেবে তা আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ঘোষিত ডিভিডেন্ডের বিষয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানিয়ে দেন কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।

আর লভ্যাংশ ঘোষণা ঘিরে বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্ত নেন কোম্পানির শেয়ার বিক্রি বা ধরে রাখার। লভ্যাংশ পছন্দ হলে তিনি রেকর্ড ডেট পর্যন্ত ধরে রাখেন। আর রেকর্ড ডেটের পর শেয়ারহোল্ডারদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) লভ্যাংশ চূড়ান্ত হয়।

তবে এখন থেকে কোম্পানিগুলোকে নুতন আইনে চলতে হবে। ডিভিডেন্ড প্রদানের ক্ষেত্রে ক্যাশ ডিভিডেন্ডে আগ্রহী করতে স্টক ডিভিডেন্ডের ক্ষেত্রে অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা জারি করে বিএসইসি। চলতি বছরের ৩ অক্টোবর বিএসইসি নির্দেশনা জারি করে ৬ নভেম্বর গেজেট প্রকাশ করেছে।

এই প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগকারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

গত বছর এসএস স্টিল ও মেট্রো স্পিনিং মিলসের স্টক ডিভিডেন্ডের প্রস্তাব বিএসইসি বাতিল করে। কিন্তু তার আগে রেকর্ড ডেটের পর দর সমন্বয় হয়। এরপর বিএসইসির সিদ্ধান্তে আরও ক্ষতির মুখে পড়ে বিনিয়োগকারীরা।

পরবর্তীতে দুটি রেকর্ড ডেট নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ক্যাশ ডিভিডেন্ডের বিষয়ে একটি এবং স্টক ডিভিডেন্ডের বিষয়ে আরেকটি রেকর্ড ডেট থাকে। কিন্তু গত বছর ৫ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা ইউনিয়ন ব্যাংকের ডিভিডেন্ড এখনও অনুমোদন করেনি বিএসইসি।

স্টক ডিভিডেন্ডের বিষয়ে বিনিয়োগকারীরা এখনও অন্ধকারে রয়েছেন, যদিও এজিএমে এই প্রস্তাব পাস হয়েছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সাত দিনের সর্বাধিক পঠিত