সকল মেনু

২৪ নভেম্বর পাখা মেলছে এয়ার অ্যাস্ট্রা

সিনিয়র রিপোর্টার: ২৪ নভেম্বর বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে পাখা মেলছে দেশের ১১তম বেসরকারি এয়ারলাইনস এয়ার অ্যাস্ট্রা। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে এয়ারলাইনসটি।

এ সময় এয়ার অ্যাস্ট্রা কর্তৃপক্ষ জানায়, ২৪ নভেম্বর ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে তাদের। অনুষ্ঠানে এয়ার অ্যাস্ট্রার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট উন্মোচন করেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

এ সময় তিনি বলেন, দেশের এভিয়েশন শিল্প বদলে যাচ্ছে। আগামী ১৫ বছরে এই শিল্প আরও ৩ গুণ প্রবৃদ্ধি হবে। গত ১০ বছরে এই শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল দ্বিগুণ।

অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, নতুন একটি এয়ারলাইনস দেশের এভিয়েশন খাতে যুক্ত হচ্ছে এ বিষয়টি অনেক গর্বের ও আনন্দের। বাংলাদেশ এভিয়েশন হাব হবে। সে লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। এয়ার অ্যাস্ট্রা ওই লক্ষ্যের একটি পদক্ষেপ।

‘দেশের অভ্যন্তরীণ গন্তব্যগুলোতে যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। এই যাত্রীদের ভালো মানের সেবা দিতে হবে। দুটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। একটি হচ্ছে, পরিচালন নিরাপত্তা (অপারেশনাল সেফটি), আরেকটি হচ্ছে যাত্রীসেবা। যাত্রীসেবা টেকসই করতে হবে।’

এয়ার এ্যাস্ট্রার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ বলেন, প্রায় ৯ বছর পর বাংলাদেশে একটি নতুন এয়ারলাইন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল এয়ার এ্যাস্ট্রা। আমরা নিরাপদ যাত্রীসেবা ও সময়ানুবর্তিতার মাধ্যমে যাত্রীদের সবেচয়ে পছন্দের ও নির্ভরযোগ্য এয়ারলাইন হিসেবে নিজের প্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ়প্রতিবদ্ধ।

২৪ নভেম্বর ঢাকা থেকে কক্সবাজার আকাশপথের মধ্য দিয়ে এয়ার অ্যাস্ট্রা ফ্লাইট অপারেশন শুরু করবে। শুরুতে ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা আকাশপথে ৩টি ও ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা আকাশপথে ২টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে এয়ার অ্যাস্টা।

কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রাথমিকভাবে দুটি এটিআর সেভেনটি টু মডেলের উড়োজাহাজ দিয়ে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। একই মডেলের আরও দুটি উড়োজাহাজ চলতি বছরের মধ্যেই দেশে আসবে। আর আগামী বছরের মধ্যে এয়ারলাইনসটির বহরে মোট ১০টি উড়োজাহাজ যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

৩ নভেম্বর বেবিচকের এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট (এওসি) পায় এয়ার অ্যাস্ট্রা। এওসি হলো বেবিচক-এর চূড়ান্ত অনুমোদন, যার মাধ্যমে এয়ার অ্যাস্ট্রা বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করার অনুমতি পায়। এয়ারলাইনসটি ফ্লাইট শুরু করলে এটি হবে দেশের তৃতীয় সচল বেসরকারি এয়ারলাইনস।

বেবিচকের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো এয়ারলাইনস ফ্লাইট শুরুর পর প্রথম এক বছর আবশ্যিকভাবে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক বছর পর আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চাইতে পারে এয়ারলাইনসটি।

গত ২৫ বছরে দেশে ১০টি বেসরকারি এয়ারলাইনস যাত্রা শুরু করলেও এখন টিকে আছে মাত্র দুটি। এ সময়ের মধ্যে একে একে পাখা গুটিয়েছে অ্যারো বেঙ্গল, এয়ার পারাবত, রয়্যাল বেঙ্গল, এয়ার বাংলাদেশ, জিএমজি এয়ারলাইনস, বেস্ট এয়ার, ইউনাইটেড এয়ার ও রিজেন্ট এয়ার।

সর্বশেষ করোনার মধ্যে গত বছরের মার্চ থেকে ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে আরেকটি এয়ারলাইনস রিজেন্ট এয়ার। কয়েক দফা চালুর কথা বললেও আর ফ্লাইটে ফেরেনি এয়ারলাইনসটি। বন্ধ হয়ে যাওয়া এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে জিএমজি, রিজেন্ট ও ইউনাইটেড এয়ার আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও চালাত।

দেশে বর্তমানে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ছাড়া ফ্লাইটে রয়েছে বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস বাংলা ও নভোএয়ার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top