সকল মেনু

পরিবর্তিত হয়ে ফের আইপিওতে বি ব্রাদার্স গার্মেন্টস

সিনিয়র রিপোর্টার: প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) মাধ্যমে আবারো পুঁজিবাজারে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে বি ব্রাদার্স গার্মেন্টস। যদিও বিভিন্ন অভিযোগে ২০২০ সালের আগস্ট মাসে কোম্পানির আইপিও বাতিল করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

শতভাগ রপ্ত্নীমূখী প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালে বি ব্রাদার্স গার্মেন্টস স্থির মূল্য পদ্ধতির মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চেয়েছিল। তবে এবারে কোম্পানির কর্তৃপক্ষ ৩২ কোটি টাকা সংগ্রহে মাঠে নামছে।

অনেক পরিবর্তীত হতে এবার ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে জনতা ক্যাপিটাল লিমিটেড। আগে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এবারে থাকছে আন্ডার রাইটার হিসেবে।

ছবি : সংগৃহীত

এবারে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন কমিয়ে করা হয়েছে ৯০ কোটি। অন্যদিকে ৫০ কোটি টাকার বিপরীতে গ্রহণ করবে মাত্র ৩২ কোটি টাকা।

তবে সরকারি দলের একজন সংসদ সদস্যের কোম্পানি বি ব্রাদার্স গার্মেন্টস লিমিটেড। সে কারণে এবারে বেশ জোরেসারে আইপিওর কাজে নেমেছে ইস্যু ব্যবস্থাপনা কোম্পানি জনতা ক্যাপিটাল লিমিটেড।

চলতি সপ্তাহে বিএসইসিতে চূড়ান্ত আবেদনের প্রস্তুতি চলছে, বলে বিশেষ একটি সূত্র তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আইপিও বাতিলের কারণ

সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন এবং আর্থিক বিবরণী বাড়িয়ে দেখায় বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির শেয়ার কেনার আগ্রহী ছিল না। এছাড়াও কোম্পানির শেয়ার মানি ডিপোজিটের টাকা একটি পৃথক ব্যাংক হিসাবে রাখার কথা থাকলেও তা না করে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে রাখা হয়।

আইপিও তহবিল থেকে বিল্ডিংয়ের অনুমোদিত লেআউট জমা দিতেও ব্যর্থ হলে ২০২০ সালের আগস্ট মাসে আইপিও আবেদন বাতিল করে কমিশন।

একইসঙ্গে, কমিশন পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, টেক্সট লাইন ও স্পোর্টসওয়্যার দুই ইউনিট থেকে কোম্পানির মোট আয়ের ৬৭ শতাংশ আসে। ভবিষ্যতে কোন একটি ইউনিটের ক্রয়াদেশ বাতিল হলে কোম্পানি সমস্যায় পড়বে। ৩০ জুন, ২০১৬ পর্যন্ত কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীতে কেবলমাত্র একজন পরিচালক স্বাক্ষর করেছেন, যা কোম্পানি আইন ১৯৯৪ লঙ্ঘন হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top