Homeঅর্থনীতিশত কোটি টাকার মজুদ পণ্যের যাচাই হয়নি, তথ্য ঘাটতি ফু-ওয়াং সিরামিকের

শত কোটি টাকার মজুদ পণ্যের যাচাই হয়নি, তথ্য ঘাটতি ফু-ওয়াং সিরামিকের

স্টাফ রিপোর্টার: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিরামিক খাতের ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ১৮৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকার মজুদ পণ্য যাচাই করতে পারেননি কোম্পানিটির নিরীক্ষক ম্যাবস অ্যান্ড জে পার্টনার্স, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস। একই সঙ্গে কাঁচামাল ক্রয়, খুরচা যন্ত্রাংশ ও প্যাকিংয়ের যন্ত্রপাতি কেনা বাবদ কোম্পানিটি ৮৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকার যথাযথ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়- ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজের সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখিত ১৮৩ কোটি ৪৬ লাখ ৯৫ হাজার ৮০৭ টাকার মজুদ পণ্যের বিপরীতে সঠিক সময়, তথ্য ও প্রতিবেদন দেখাতে পারেনি কোম্পানিটি। এ অবস্থায় কোম্পানির উল্লেখিত পরিমাণ মজুদ পণ্য শনাক্ত করতে পারেনি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।

আবার, আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটি ৭৭ কোটি ৯৩ লাখ ৮৪ হাজার ৭৪৮ টাকার কাঁচামাল, ৪ কোটি ৫২ লাখ ৫১৩ টাকার খুচরা যন্ত্রাংশ এবং ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৯৯ হাজার ৭৯৬ টাকার প্যাকিং যন্ত্রপাতি কিনেছে বলে ফু-ওয়াংয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও এসব মালামাল কেনার বিষয়ে যথাযথ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি কোম্পানিটি। -যেকারণে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানটি মোট ৮৬ কোটি ৪৪ লাখ ৮৫ হাজার ৫৭ টাকার কাঁচামাল, খুচরা যন্ত্রাংশ ও প্যাকিং যন্ত্রপাতি শনাক্ত করতে পারেনি।

পুঁজিবাজারে ১৯৯৮ সালে তালিকাভূক্ত ফু-ওয়াং সিরামিকের পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে। ঘোষিত লভ্যাংশ ও আলোচ্য হিসাব বছরের অন্যান্য এজেন্ডায় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে চলতিবছরের ৩১ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ ডিসেম্বর।

২০২১-২২ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৩ পয়সা। এর আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩৪ পয়সা। এ বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৭৮ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১১ টাকা ৭০ পয়সায়।

এর আগে ৩০ জুন ২০২০-২১ সমাপ্ত হিসাব বছরে উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে বাকি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৪ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরে ইপিএস ছিল ৪৭ পয়সা। আর, ২০১৯-২০ হিসাব বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১ দশমিক ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

ফু-ওয়াং সিরামিকের অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৩৬ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা। মোট শেয়ারের সংখ্যা ১৩ কোটি ৬২ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩টি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সাত দিনের সর্বাধিক পঠিত