সকল মেনু

সরকার কোনো মহাজন নয়, ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমতে পারে: এম এ মান্নান

স্টাফ রিপোর্টার: তেল-গ্যাস সরকার নিজে কিনে বিক্রি করে, সরকার কোনো মহাজন নয়। গত অক্টোবর থেকে নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান মূল্যস্ফীতির সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করে বলেন, নভেম্বর মাস শেষে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ, যা গতমাসে ছিল ৮ দশমিক ৯১ শতাংশে।

মূল্যস্ফীতির এসব তথ্য-উপাত্ত হিসাব করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

সংবাদ সম্মেলনে এম এ মান্নান বলেন, সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ১০ ও আগস্টে ছিল ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। নভেম্বর মাসে খাদ্যপণ্যের দাম কমে ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ হয়েছে, যা আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ।

তিনি বলেন, নভেম্বর মাসের তুলনায় মূল্যস্ফীতি ডিসেম্বরে আরো কমার সম্ভাবনা আছে। কারণ, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধানসহ শাক সবজি উৎপাদিত হয়েছে। একইসঙ্গে, বিশ্বব্যাপী তেল-গ্যাসের দাম কমায় সার্বিকভাবে প্রবৃদ্ধিও সাত শতাংশে যাবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে তেল-গ্যাসের দাম কমলে অবশ্যই সরকার কমাতে বাধ্য হবে। সরকার এটা নিয়ে লাভ করবে না। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়মূল্যস্ফীতি পরিমাপকের সূচকগুলো পর্যালোচনা করবে।

তিনি বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় নয়, এমন পণ্য এ তালিকায় রাখা হবে কি না, তা ভাবা হবে। গত তিন মাসে ধারাবাহিকভাবে মূল্যস্ফীতি হ্যাট্রিক হয়েছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় আমাদের দেশে অবশ্যই এর প্রভাব পড়বে। আজ না হয় কাল আমাদের দেশে দাম কমবে।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৪২২টি পণ্যের ওপর মূল্যস্ফীতি যাচাই করা হয়। এখন সেগুলো আবার পুনর্বিবেচনা করা হবে। কারণ, সোনার দামও ধরা হয়েছে এখানে। সোনার দাম বাড়লে মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়ে।

এম এ মান্নান বলেন, মূল্যস্ফীতি যাচাইয়ের ক্ষেত্রে মাখন ও কফির মতো কিছু পণ্যের দামও ধরা হয়। এগুলো সংশোধন করা হবে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ২৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৩১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৭০ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৯০ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।

নভেম্বরে মজুরি হার শতকরা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ। কৃষিখাতে মজুরি হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। শিল্প খাতে মজুরি হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। সেবা খাতে মজুরি হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ১৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ১১ শতাংশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top