Homeআইপিওএশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের আইপিও আবেদন স্থগিত

এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের আইপিও আবেদন স্থগিত

স্টাফ রিপোর্টার: শেয়ারমার্কেটে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়ায় থাকা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও আবেদন) প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছিল। ১৬ জানুয়ারি থেকে আইপিও আবেদন শুরু করার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে।

এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের সম্পদ বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সাবস্ক্রিপশন প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখতে দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, কোম্পানির স্থায়ী সম্পদের ভ্যালুয়েশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় বিষয়টি তদন্ত করে দেখার সাবস্ক্রিপশন প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে ১৫ জানুয়ারি কোম্পানির পক্ষে আইপিও আবেদন স্থগিত করার বিষয়ে জানানো হয়েছে।  পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পরযন্ত এ নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।

এর আগে, প্রতিষ্ঠানটির আইপিও আবেদন ১৬ জানুয়ারি, সোমবার থেকে শুরু হয়ে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলার কথা ছিল।

তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানির শেয়ারে কাট-অফ প্রাইস নির্ধারিত হয়েছে ৫০ টাকা। ৫০ টাকার ৩০% ডিসকাউন্ট হিসেবে ৩৫ টাকা অথবা ২০ টাকার মধ্যে যা কম, সে মূল্যে শেয়ার পাবেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। অর্থাৎ, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের প্রতিটি শেয়ার ২০ টাকা করে কিনতে হবে জেনারেল শেয়ারহোল্ডারদেরকে।

গেলো বছরের ১০ অক্টোবর বিকাল ৩টা থেকে ১৩ অক্টোবর বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিডিং অনুষ্ঠিত হয় এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের। ওই বছরের ৩১ আগস্ট বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের বিএসইসি) ৮৮৭তম সভায় বিডিংয়ের অনুমতি প্রদান করা হয় কোম্পানিটিকে।

আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৯৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। আর, উত্তোলনকৃত অর্থ ভবন নির্মাণ, ব্যবসা সম্প্রসারণ, উৎপাদন, ব্যাংক ঋণ প‌রি‌শোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে কোম্পানিটি।

নিয়মানুসারে, প্রথমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ার বিক্রি করা হবে বুকবিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওতে। তাদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ারের বিক্রি শেষ হওয়ার সময় যে দর বিদ্যমান থাকবে, সেই দরকে কাট অফ প্রাইস (Cut-off Price) হিসেবে ধরা হবে। আর, আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা হবে কাট অফ প্রাইস অপেক্ষা ৩০ শতাংশ অথবা ২০ টাকার মধ্যে যা কম, সেই দর অনুযায়ী।

এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ৩০ জুন-২০২১, সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে পুনঃমূল্যায়ন পরবর্তী শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য বা এনএভি দাঁড়িয়েছিল ৫৬ টাকা ৬১ পয়সায়। আর পুনঃমূল্যায়ন ছাড়া কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ৩৫ টাকা ৪৮ পয়সায়। কোম্পানিটির গড়ে পাঁচ বছরের ভারিত শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস ৩ টাকা ২১ পয়সা ছিল।

বিএসইসির শর্তানুসারে, আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্তির আগে কোনো ধরণের লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না কোম্পানিটি।

আইপিওর ক্ষেত্রে কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সাত দিনের সর্বাধিক পঠিত