সকল মেনু

অনিয়মের বেড়াজালে মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, উৎপাদন বন্ধ ৪ বছর ধরে

স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে রয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের প্রতিষ্ঠান মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের ব্যবসা। পাশাপাশি, ৪ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে কোম্পানির উৎপাদন। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটির শীঘ্র উৎপাদনে ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছেন কোম্পানির নিরীক্ষক।

প্রতিষ্ঠানটির ২০২১-২২ হিসেব বছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংক ঋণ হিসেবে ৬৪ কোটি ২৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকা দেখিয়েছে মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক। আপডেট ব্যাংক স্টেটমেন্ট না পাওয়ায় যার সত্যতা যাচাই করা যায়নি।

পাশাপাশি, প্রতিষ্ঠানটির দাবি করা ৮ কোটি ২ লাখ টাকার মজুত পণ্যের সত্যতা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে নিরীক্ষকের মতে। আবার,  আর্থিক হিসাবে প্রতিষ্ঠানের নগদ ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা থাকার কথা উল্লেখ করা হলেও তা নিরীক্ষক দিয়ে যাচাই করা হয়নি।

ডিএসইতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানির ২০২১-২২ হিসেব বছরে ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা নিট লোকসান হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির মোট সম্পদের থেকে বেড়ে গিয়েছে চলতি দায়ের পরিমাণ।

সেইসঙ্গে, কয়েক বছর ধরে লোকসান, ঋণাত্মক ইক্যুইটি, ঋণাত্মক সংরক্ষিত আয় ও ঋণাত্মক সম্পদ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। যেকারণে ব্যবসায় ফিরে আসা হুমকির মুখে পড়েছে এ প্রতিষ্ঠানের।  বরং, কোম্পানির গ্যাস সংযোগ বিচ্যুত করার ফলে গত ৪ বছর ধরে উৎপাদন বন্ধ থাকা যেন মরার উপর খাড়ার ঘা।

আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস)-১২ অনুযায়ী ডেফার্ড ট্যাক্স গণনা করে না মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক কর্তৃপক্ষ বলে নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। আবার, ডেফার্ড ট্যাক্স সমন্বয় ছাড়াই রিভ্যালুয়েশন সারপ্লাসের উপর ধার্য্য করা অবচয় রিভ্যালুয়েশন রিজার্ভ থেকে রিটেইন আর্নিংসে স্থানান্তর করেছে কোম্পানিটি।

পুঁজিবাজারে ২০০১ সালে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেয়নি অনেক দিন। তার উপর, বহু বছর আগের ঘোষণা করা লভ্যাংশের ১৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকাও এখনো প্রদান করেনি শেয়ারহোল্ডারদের। এতকিছুর পরও প্রতিষ্ঠানটিতে নানা অনিয়মের ধারা অব্যাহত রয়েছে বলে মত দিয়েছেন নিরীক্ষক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top