স্টাফ রিপোর্টার: বিগত ৫ বছরের বেশি সময় ধরে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করা বাংলাদেশ ওয়েল্ডিং ইলেকট্রোডসের (বিডি ওয়েল্ডিং) ৩০ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পাকে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ইতোমধ্যে ওই দুই কোম্পানিসহ ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।
বিএসইসির নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে এ কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে ৩১.০১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে ২৫.২৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে আইসিবির কাছে। আর, সি পার্লের ৩০ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণের জন্য আইসিবির কাছে থাকা সব শেয়ার প্রতিষ্ঠানটির কাছে (সি পার্ল) বিক্রি করে দেয়া হবে।
বিডি ওয়েল্ডিংয়ের এমডি ও পরিচালকদের কাছ থেকে বিক্রি করা হবে বাকি ৪.৭৫ শতাংশ শেয়ার।
দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বন্ধ কোম্পানিকে চালু করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয় বর্তমান কমিশন। একই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন বন্ধ থাকা প্র্রতিষ্ঠান বিডি ওয়েল্ডিংকে উৎপাদনে ফেরাতে উদ্যোগ নেয়া হয়।
এ আলোকে ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি কোম্পানিটির পর্ষদ পুনর্গঠন করে কমিশন। একইসঙ্গে, বিগত ২ অর্থবছরের আর্থিক অবস্থাসহ সার্বিক বিষয় নিরীক্ষার জন্য বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।
আবার, একই বছরের মার্চে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের বাদ দিয়ে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে ২ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। পাশাপাশি, আরো ৪ জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আর, ৪ জনের মধ্যে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে একজনকে রাখা হয় আইসিবির পক্ষ থেকে।
ইতোপুর্বে, আইসিবির শেয়ার বিক্রিসহ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদকে ৫টি পরামর্শ দিয়েছিল কমিশন। বিডি ওয়েল্ডিংয়ের ধারণ করা আইসিবির শেয়ার বিক্রি করে দেয়া, কোম্পানি সচিবের অপসারণ বিষয়ে সিকিউরিটিজ আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, নির্বাহী পরিচালকের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে কোম্পানির কোনো অপারেশনাল ইস্যুতে নিযুক্ত না করা, কোম্পানির নিরীক্ষা কার্যক্রম ও বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আদালতের অনুমোদন সাপেক্ষে করাসহ পরিচালনা পর্ষদ সভায় সেক্রেটারিয়েল প্যাকটিক ও প্রাসঙ্গিক সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন করা এসব পরামর্শের মধ্যে রয়েছে।
পুঁজিবাজারে ১৯৯৯ সালে তালিকাভুক্ত বিডি ওয়েল্ডিংয়ের আর্থিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে আইসিবি। অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় আইসিবির কাছে থাকা শেয়ার সম্ভাবনাময় ক্রেতার কাছে বিক্রির পরামর্শ দেয় বিএসইসি।
বিডি ওয়েল্ডিংয়ের অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা। আর, পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৪৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।