স্টাফ রিপোর্টার: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চার কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ বিতরণের প্রতিবেদন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) জমা দেয়নি। প্রতিবেদন জমা না দেয়া এ চার কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড, জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি (বাংলাদেশ), ফরচুন সুজ এবং কে অ্যান্ড কিউ (বাংলাদেশ) লিমিটেড।
ডিএসইর ওয়েবসাইটে মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি/২০২৩) এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, কোনো কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) পরবর্তী সাত কর্মদিবসের মধ্যে ডিএসই ও বিএসইসিতে কমপ্লায়েন্স প্রতিবেদন জমা দিতে হয় বলে বিধান রয়েছে। নিয়মানুযায়ী, লভ্যাংশ বিতরণের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে হয় ডিএসই ও বিএসইসিকে।
লভ্যাংশ বিতরণের প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা না দেয়ায় কোম্পানিগুলোকে কারণ দর্শাতে চিঠি দিয়েছে ডিএসই।
তালিকাভুক্ত কোম্পানির এজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ অনুমোদনের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে তা বিতরণ করার নির্দেশনা রয়েছে লিস্টিং রুলসের ২৯ অধ্যায়ে। একইসঙ্গে, লভ্যাংশ বিতরণের সাত কার্যদিবসের মধ্যে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্টক এক্সচেঞ্জে একটি কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা দেয়ারও নির্দেশনা রয়েছে ২৯ অধ্যায়ে।
আলোচিত চার কোম্পানি লিস্টিং রুলস লঙ্ঘন করায় শাস্তি স্বরূপ জরিমানার আওততায় আসবে বলে জানায় ডিএসই। সে হিসেবে দৈনিক ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে ওই চার কোম্পানিকে।
লিস্টিং রুলস লঙ্ঘনকারী চার কোম্পানির মধ্যে ফরচুন সুজ ২০২১-২২ অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ এবং ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর লভ্যাংশের অনুমোদন নিতে এজিএম করে।
সে হিসেবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে লভ্যাংশ পরিশোধ করার পর একই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাঠানোর কথা থাকলেও তা পরিপালন করেনি কোম্পানিটি।
আবার, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন গত ৮ ডিসেম্বর এজিএম করে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশে অনুমোদন নিলেও প্রতিবেদন পাঠানোর ক্ষেত্রে নিয়ম মানেনি।
পাশাপাশি, আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান জিএসপি ফাইন্যান্স ২০২১-২২ হিসাব বছরের জন্য ঘোষিত ২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ এবং ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য এজিএম করে গত ২৭ সেপ্টেম্বর। দীর্ঘ দিন পেরিয়ে গেলেও লভ্যাংশ বিতরণের কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।
একইভাবে, জুলাই থেকে মার্চ সময়ের জন্য কে অ্যান্ড কিউ ৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করলেও তা বিতরণের কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা না দিয়ে লিস্টিং রুলস লঙ্ঘন করে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।