স্টাফ রিপোর্টার: ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠান এবি ব্যাংক লিমিটেডের পারপেচুয়াল (চিরস্থায়ী) বন্ডের পাবলিক অফারের সাবস্ক্রিপশনে সময় বাড়ানো হয়েছে। বন্ডটিতে চলতি বছরের ৩০ মার্চ পর্যন্ত সাবস্ক্রিপশনের অনুমতি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
ঢাকা স্টক এক্সঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে জানা যায়, এবি ব্যাংকের হস্তান্তরযোগ্য, অসুরক্ষিত, নন-কম্যুলেটিভ, কন্টিনজেন্ট-কনভার্টেবল পারপেচুয়াল এ বন্ডে শেষবারের মতো বাড়ানো হয়েছে সাবস্ক্রিপশনের মেয়াদ। একেইসঙ্গে, ইলেকট্রনিক সিস্টেমের মাধ্যমে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের সাবস্ক্রিপশনের সম্পূর্ণ অর্থ (১০০%) এবং ৩০০০ টাকা সাবস্ক্রিপশন ফি ৩০ মার্চ দুপুর ২:০০টার মধ্যে (ব্যাংকিং আওয়ারে) প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়।
মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের মাধ্যমে ডিএসইর ব্যাংক হিসাবে (এ/সি নাম: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, এ/সি নং: ১৩৫৪১৩১৩৪০৭৯৪০৪) এ টাকা জমা দিতে হবে।
ব্যাংকটির বন্ডে সাবস্ক্রিপশনের সময় বাড়ানো ও ফি প্রদানসহ অন্যান্য বিষয়ে গত ৩০ জানুয়ারি এ সংক্রন্ত একটি চিঠি ( চিঠি নং- বিএসইসি/সিআই/ডিএস-১৬৩/২০২১/১৭২) ইস্যু করে বিএসইসি।
চিঠির নির্দেশনা অনুযায়ী, ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমে (ইএসএস) চলতি বছরের ২ এপ্রিল থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ জনগণের আইপিও ফাইল আপলোড (জমা) করতে বলা হয় নিবন্ধিত ট্রেক হোল্ডার বা মার্চেন্ট ব্যাঙ্কারদেরকে। আর, সকাল ১০:০০টায় শুরু করে বিকাল ৫:০০টা পর্যন্ত চলবে আইপিও ফাইল আপলোডের এ কার্যক্রম।
একই সময়ের মধ্যে জমাকৃত মোট আবেদনের ভিত্তিতে একত্রিত গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে সম্পূর্ণ অর্থ ডিএসইর ব্যাংক হিসাবে প্রদানেরও নির্দেশ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১২ মে ডিএসইর ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যানুসারে, বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৫০০ কোটি টাকার অ-পরিবর্তনযোগ্য, অসুরক্ষিত এবং ফ্লোটিং রেটেড পারপেচুয়াল বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেয় এবি ব্যাংকের পর্ষদ। এর মাধ্যমে কোম্পানির অতিরিক্ত টায়ার-১’র অধীনে মূলধন বাড়ানোর সুপারিশ করে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ।
পরবর্তীতে, আগের প্রস্তাবিত ৫০০ কোটি টাকার পরিবর্তে বন্ডের পরিমাণ আরো ১০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে মোট ৬০০ কোটি টাকার বন্ড দুই অংশে ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নেয় এবি ব্যাংক। এরমধ্যে, প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৫৪০ কোটি এবং পাবলিক অফারের মাধ্যমে বাকি ৬০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করবে বলে জানায় ব্যাংকটি।
বিএসইসি ২০২১ সালের ২২ নভেম্বরের কমিশন সভায় এবি ব্যাংকের ৬০০ কোটি টাকার বন্ডে অনুমোদন দেয়। প্রতি ইউনিট বন্ডের অভিহিত মূল্য ১ হাজার টাকাসহ বন্ডটির কুপন রেট নির্ধারণ করা হয় ৬ থেকে ১০ শতাংশ। আর, ২% মার্জিন পিএসহ উল্লেখিত বন্ডের সুদ হার ২০ বছরের ট্রেজারি-বন্ড রেট হিসেবে বিবেচ্য হবে।
এরপর, ২০২২ সালের ২২ আগষ্ট পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয় বন্ডটির পাবলিক অফারে। একই বছরের ৮ জুন ডিএসইতে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
পুঁজিবাজারে ১৯৮৩ সালে তালিকাভুক্ত এবি ব্যাংকের পূর্ব ঘোষিত ৬০০ কোটি টাকার বন্ডে পাবলিক অফারের মেয়াদ বাড়ানো হলো দ্বিতীয় দফায়। অর্থাৎ, চলতি বছরের ৩০ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে সাবস্ক্রিপশনের মেয়াদ।
ব্যাংকিং খাতের এ প্রতিষ্ঠানের বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) লেনদেন শেষে শেয়ার দর ৯ টাকা ৯০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত মূলধন ১৫০০ কোটি টাকা। আর, পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৮৬০ কোটি ৯১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৬৯৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
এ ব্যাংকের মোট শেয়ারসংখ্যা ৮৬ কোটি ৯ লাখ ১৩ হাজার ৮৩১টি। এরমধ্যে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। বাংলাদেশ সরকারের শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর রয়েছে ২২ দশমিক ৮৯ শতাংশ শেয়ার। বাকি ৪৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।