Homeখাতওয়ারী সংবাদশ্রমিকরাও পান স্নোটেক্সের মুনাফা

শ্রমিকরাও পান স্নোটেক্সের মুনাফা

সিনিয়র রিপোর্টার: ঢাকার ধামরাইয়ে স্নোটেক্স আউটারওয়্যারের কারখানা। গ্রিন এই ফ্যাক্টরিটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আকৃষ্ট করবে সবাইকে। এ প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরাও কোম্পানিটির লাভের একটি অংশ পেয়ে থাকেন।

সব ধরনের ডাউন ও প্যাডেড জ্যাকেট তৈরি করে স্নোটেক্স। নানা ধরনের ক্যাজুয়াল ও ফরমাল পোশাকের পাশাপাশি এখানে খেলাধুলার পরিধেয় প্রস্তুত করা হয়। তাছাড়া সব ধরনের জ্যাকেট তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি।

স্নোটেক্স’ ২০০০ সালে বায়িং হাউজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। ২০০৫ সালে ‘স্নোটেক্স অ্যাপারেলস’ এর যাত্রা শুরু হয়। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে ‘কাট অ্যান্ড সিউ’ এবং ২০১৪ সালে ‘স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে ‘স্নোটেক্স স্পোর্টসওয়্যার লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে ‘স্নোটেক্স’ চারটি বড় কারখানার একটি প্রতিষ্ঠান।

প্রথম ভবনের সামনে রয়েছে সবুজে ঘেরা বাগান। অপর পাশে সবজি বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। শ্রমিকদের অবসর সময় কাটাতে রয়েছে সবুজ মাঠ। কারখানাটির চারিদিকে সবুজের খেলা।

শ্রমিক বান্ধব প্রতিষ্ঠান : কর্মীবান্ধব হিসেবে সুনাম রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। স্নোটেক্স এর প্রায় ২০ হাজার শ্রমিকদের জন্য প্রতিদিন বিনামূল্যে দুপুরের খাবারের ব্যাবস্থা রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পুষ্টিবিদের তত্বাবধানে শ্রমিকদের খাবারের মান নিশ্চিত করা হয়। প্রতি মাসে কারখানাটি শ্রমিকদের খাবার বাবদ ১ কোটি টাকা খরচ করে থাকে।

পাশাপাশি রয়েছে শ্রমিকদের ফ্রি চিকিৎসার ব্যাবস্থাও। স্নোটেক্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ বলেন, আমরা আমাদের কারখানার শ্রমিকদের ফ্রি খাবার এবং চিকিৎসার পাশাপাশি বিনোদনের কথাও চিন্তা করছি। তিনি আরো বলেন আশা করছি আগামী কয়েকমাসের মধ্যে আমরা শ্রমিকদের বিনোদনের ব্যাবস্থা করতে পারবো।

এসব সুবিধার বাইরেও কারখানাটি তার মুনাফার একটি অংশ শ্রমিকদের দিয়ে থাকে।

বায়ার: প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বার্নি অ্যাপারেল, অ্যালফাব্রোডার, হ্যাগার ক্লদিং, ভিএফ, কলম্বিয়া স্পোর্টসওয়্যার, কানাডার রিচলু, কানাডা স্পোর্টসওয়্যার, ফ্রান্সের ক্যামাই ইউ, ডিক্যাথলন, ইংল্যান্ডের মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার, ডেভেনহ্যামস, বেলজিয়ামের সিঅ্যান্ডএ, স্পেনের ম্যাঙ্গো এবং ডেনমার্কের বেস্টসেলার।

এছাড়াও শিগগিরই জাপান এবং দুবাইয়ে গার্মেন্টস রপ্তানির জন্য কাজ শুরু করেছে স্নোটেক্স জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ।

আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার : প্রতিষ্ঠানটির সব কারখানায় ইউরোপ , আমেরিকার ও জাপানি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। কারখানাগুলোর ছাদে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদুৎতের মাধ্যমে স্নোটেক্সের মোট বিদুৎ ব্যাবহারের ১২ শতাংশ পূরণ করা হয়। পাশাপাশি সরকারি ছুটির দিনগুলোতে অব্যবহৃত বিদুৎ জাতীয় পাওয়ারগ্রীডে সরবরাহ করা হয়।

এছাড়াও কারখানাটিতে রয়েছে জাপানি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট।

স্নোটেক্স এর অর্জন: গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ‘স্নোটেক্স আউটারওয়্যার ট্যাক্স কার্ড সন্মাননা ২০২২ পেয়েছে। তৈরি পোশাক শ্রেণিতে সর্বোচ্চ আয়কর প্রদানকারী হিসেবে এই পুরস্কার পায় স্নোটেক্স।

৮ ডিসেম্বর ২০২১ সালে ‘স্মোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড’ কে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ‘গ্রীন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেছে।

কয়েকটি মাপকাঠি সামনে রেখে গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হচ্ছে। এগুলো হলো- অপরিহার্য প্রতিপালন, পরিবেশগত প্রতিপালন, প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিপালন ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম।

ডিএইচএল ও দ্য ডেইলি স্টারের আয়োজনে ‘বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড-২০১৯’ এ ‘বছরের সেরা ব্যবসায় উদ্যোক্তা’ শ্রেণিতে পুরস্কার পায় ‘স্নোটেক্স’।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সাত দিনের সর্বাধিক পঠিত