স্টাফ রিপোর্টার: ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে প্রায় ১১ শতাংশ। তবে আলোচ্য সময়ে ব্যয় বৃদ্ধির চাপে কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে প্রায় ২৬ শতাংশ।
বুধবার প্রকাশিত কোম্পানির চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজের বিক্রি হয়েছে ৪৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪০ কোটি ৯১ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে ৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা বা ১০ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির গ্রস মুনাফা হয়েছে ১৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১১ কোটি ৭২ লাখ টাকা। চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে ৫৮ লাখ টাকা বা ২৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৭ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৩৫ পয়সায়।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে ফু-ওয়াং সিরামিকসের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩৪ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৭৮ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১১ টাকা ৭০ পয়সায়।
৩০ জুন ২০২০-২১ সমাপ্ত হিসাব বছরে উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে বাকি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৪ পয়সা, যেখানে আগের হিসাব বছরে ইপিএস ছিল ৪৭ পয়সা।
এর আগে ২০১৯-২০ হিসাব বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১ দশমিক ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীরা। কোম্পানিটি ২০১৭-১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল।
২০১৬-১৭ হিসাব বছরের জন্যও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পান শেয়ারহোল্ডাররা। আর ২০১৪-১৫ হিসাব বছরের জন্যও একই হারে স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।
১৯৯৮ সালে তালিকাভুক্ত ফু-ওয়াং সিরামিকের অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১৩৬ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা। মোট শেয়ারের সংখ্যা ১৩ কোটি ৬২ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে।
এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৪০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৬৩ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইতে বুধবার কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ১৭ টাকা ৪০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৪ টাকা ৯০ ও ২১ টাকা ৩০ পয়সা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।