সকল মেনু

১৫০ কোটি টাকার প্রেফারেন্স শেয়ার ছাড়বে কনফিডেন্স সিমেন্ট, মুনাফাও কমেছে

সিনিয়র রিপোর্টার: কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেড সহযোগী কোম্পানিতে বিনিয়োগের জন্য ১৫০ কোটি টাকার প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটির বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদনসাপেক্ষে এ প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু করা হবে। বৃহস্পতিবার  সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পর্ষদ।

সিদ্ধান্ত অনুসারে, ১৫০ কোটি টাকার প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মূলধন বাড়ানোর জন্য কোম্পানিটির বিদ্যমান অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৩৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মূলধন বাড়ানো ও প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর জন্য কোম্পানিটির বিদ্যমান সংঘবিধি ও সংঘস্মারকের সংশ্লিষ্ট ধারায় পরিবর্তন আনতে হবে। এজন্য আগামী ২৫ মার্চ বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করা হয়েছে।

ইজিএমে প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু ও মূলধন বাড়ানোর বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নেয়া হবে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৩ মার্চ।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, প্রেফারেন্স শেয়ারের টাকা কনফিডেন্স সিমেন্টের সহযোগী কোম্পানি কনফিডেন্স সিমেন্ট ঢাকা লিমিটেডে বিনিয়োগ করা হবে। নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নে নতুন এ সিমেন্ট কারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে। এর সক্ষমতা দৈনিক পাঁচ হাজার টন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কনফিডেন্স সিমেন্টের কোম্পানি সচিব মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ সহযোগী সিমেন্ট কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হবে। পাশাপাশি মিরসরাইয়ের বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও কিছু অর্থ বিনিয়োগ করা হতে পারে।’

এদিকে সভায় চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে কনফিডেন্স সিমেন্টের পর্ষদ। প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির সমন্বিত আয় হয়েছে ১৯৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১৮৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ।

চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী সমন্বিত নিট মুনাফা হয়েছে ৩৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে সমন্বিত নিট মুনাফা ছিল ৪৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৪৩ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস ছিল ৫ টাকা ৭৪ পয়সা।

চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কনফিডেন্স সিমেন্টের সমন্বিত আয় হয়েছে ১০৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে সমন্বিত আয় ছিল ১০৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সমন্বিত নিট মুনাফা হয়েছে ২১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে সমন্বিত নিট মুনাফা ছিল ২৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকায়।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৭৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৪২ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭৬ টাকা ২২ পয়সায়।

সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে কনফিডেন্স সিমেন্টের পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ রয়েছে।

আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১৫ টাকা ৮৫ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। এ বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৭২ টাকা ২৬ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৭৩ টাকা ৮ পয়সায় (পুনর্মূল্যায়িত)।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কনফিডেন্স সিমেন্ট। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৫ টাকা ৮৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬ টাকা ৩৭ পয়সা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top