সকল মেনু

কর্মীদের অবদান মূল্যায়ন ও প্রচেষ্টার স্বীকৃতি দেয় বিএটি বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার: ২০২০-২০২১ অর্থবছরে শীর্ষ করদাতা হিসেবে ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) বাংলাদেশকে সম্মাননা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বৃহৎ করদাতা ইউনিট। সর্বোচ্চ কর প্রদানে অবদান রাখায় বিএটি বাংলাদেশকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।

রাজধানীর ঢাকা রিজেন্সি হোটেলে সম্মাননা গ্রহণ

রোববার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর ঢাকা রিজেন্সি হোটেলে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএটি বাংলাদেশ এই সম্মাননা গ্রহণ করে। পুরস্কার গ্রহণ ও অন্যান্য বিষেয় কথা বলেন ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) বাংলাদেশের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান সাদ জসিম।

  • বি এটি বাংলাদেশ সম্প্রতি চতুর্থবারের মতো ‘সেরা নিয়োগকর্তা’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো মূল্যায়ন করা হয়েছে?

সাদ জসিম: কর্মীদের উৎকর্ষ সাধনে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করে, তাদের স্বীকৃতি দেয় বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান টপ এমপ্লয়ার্স ইনস্টিটিউট। মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বিএটি বাংলাদেশের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও কর্মীসংক্রান্ত কৌশল, ক্যারিয়ার ও প্রবৃদ্ধির সুযোগ, কাজ সহজ করে তোলা, কর্মীদের কল্যাণ ও সুযোগ-সুবিধা এবং নিয়োগকর্তার ব্র্যান্ডিং ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে।

বিএটি বাংলাদেশ তার কর্মীদের পারফরম্যান্সের ওপর পরবর্তী প্রজন্মের নেতৃত্ব গড়ে তোলায় গুরুত্ব দেয়। কর্মীদের বৈচিত্র্যকে প্রাধান্য দেয় এবং কর্মীরা যেন ব্যক্তি ও দল হিসেবে সফল হতে পারেন- এমন সহায়ক কর্মপরিবেশ তৈরিতে জোর দেয়। আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশে কর্মীদের কাজের সুযোগ তৈরি করে দিই এবং দলীয় প্রচেষ্টার মাধ্যমে সাফল্য অর্জনে উৎসাহিত করি, যা আমার মতে সার্বিকভাবে বিএটি বাংলাদেশের এ অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।

  • কর্মদক্ষতা বাড়ানো ও মানোন্নয়নের জন্য আপনারা কী ধরনের উদ্যোগ নিয়ে থাকেন?

সাদ জসিম: প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের প্রতিভা ও কাজের মানোন্নয়নের জন্য আমরা সব সময় বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের প্রচেষ্টা থাকে, কর্মীরা যেন নেতৃত্বগুণসম্পন্ন এবং আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে সুপরিচিত হন, যার মাধ্যমে নিজেদের ও সহকর্মীদের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন। কর্মীদের বিভিন্ন অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের সুযোগ থাকে, যেখান থেকে তাঁরা স্বপ্রণোদিত শিক্ষায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলার প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের কর্মীদের উৎসাহ ও মনোবল ধরে রাখি এবং তাঁদের মননের বিকাশে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করি।

  • কর্মীদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে আপনারা কর্মীদের কীভাবে মূল্যায়ন করে থাকেন?

সাদ জসিম: আমরা কর্মীদের সম্মিলিত সামর্থ্য ও বৈচিত্র্যের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতে উৎসাহিত করি। কর্মীদের অবদান মূল্যায়ন করা ও তাদের প্রচেষ্টার যথাযথ স্বীকৃতি দেয় বিএটি বাংলাদেশ। বার্ষিক পারফরম্যান্স প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে কর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়। কর্মীদের কার্যক্রম মূল্যায়নে প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি ধাপে শতভাগ স্বচ্ছতার নীতি অনুসরণ করা হয়।

  • প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএটি বাংলাদেশকে এর কর্মীরা কীভাবে মূল্যায়ন করেন বা ধারণ করেন বলে আপনি মনে করেন?

সাদ জসিম: প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএটি বাংলাদেশের অবস্থান ও সংস্কৃতিকে এর কর্মীরা স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গেই ধারণ ও চর্চা করে থাকেন। বিভিন্ন সময়ে আমাদের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগে তাঁদের স্বতঃস্ম্ফূর্ত অংশগ্রহণ থেকে আমরা এর প্রমাণ পাই। প্রতিবছর আমরা স্বাধীনভাবে একটি জরিপ করি, যেখানে কর্মীদের কাছে বিএটির সংস্কৃতি ও কাজের পরিবেশের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়। আমাদের সর্বশেষ জরিপের রিপোর্ট অত্যন্ত সন্তোষজনক।

  • কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যহীন পরিবেশ নিশ্চিতে আপনারা কী ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন?

সাদ জসিম: নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব কর্মীর জন্য সমান অধিকার নিশ্চিতের দিকে আমরা বদ্ধপরিকর। প্রতিষ্ঠানে পদ, বিভাগ কিংবা ভূমিকা নির্বিশেষে প্রত্যেক কর্মী যেন নিজ মতামত দেওয়ার সমান সুযোগ পান, তা নিশ্চিতেও আমরা গুরুত্ব দিই। বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির প্রতি আমাদের নিরলস প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে ২০২১ সালে বিএটি বাংলাদেশ গ্লোবাল ইকুয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ড (জিইএস) অর্জন করতে সমর্থ হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top