তিনি বলেন, ‘অতি-সাম্প্রতিক মুডি’স পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমেছে, কিন্তু ২০২৩ সাল নাগাদ ৫ শতাংশ বৃদ্ধি হবে। উন্নত দেশগুলোও চলমান মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক মন্থরতার শিকার, এই প্রেক্ষাপটে আমাদের ৫ শতাংশ গ্রোথ (প্রবৃদ্ধি) খুব খারাপ নয়’।
শনিবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ঢাকা গ্যালারিতে এডিটরস গিল্ড আয়োজিত ‘অর্থনীতি কি সামলে উঠছে?’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন এই অর্থনীতিবীদ।
মির্জা আজিজুল বলেন, গত দুই-তিন মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। তারপরও এর ফলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠি যারা দারিদ্র্যসীমার কাছাকাছি ছিল, তারা এখন দারিদ্র সীমার নিচে চলে যাচ্ছে। আর যারা দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল তাদের অবস্থা আরো কষ্টকর হচ্ছে। ‘অর্থাৎ, অতি-দরিদ্রদের জীবনধারণ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।’
‘মূল্যস্ফীতি আমরা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, সেটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে যখন মূল্যস্ফীতি বহির্বিশ্বের কারণে হয়, অভ্যন্তরীণ কোনো নীতি অনুসরণ করে- সেটিকে কমানো বেশ কঠিন। সামগ্রিক চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করে যদি আমরা মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করি, তাহলে সেটি প্রবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে’ যোগ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।