সকল মেনু

প্রথম প্রান্তিকে লিন্ডে বিডির আয় কমেছে

স্টাফ রিপোর্টার: চলতি ২০২৩ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি খাতের কোম্পানি লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেডের আয় ও কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দুটোই কমেছে। এ সময়ে কোম্পানিটির বিক্রি বাবদ আয় আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৮ শতাংশ কমলেও নিট মুনাফা কমেছে অর্ধেকের বেশি।

মূলত আলোচ্য সময়ে কোম্পানির উৎপাদন খরচ বাড়ার পাশাপাশি পরিচালন ব্যয়ও কিছুটা বাড়ায় নিট মুনাফায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বহুজাতিক কোম্পানিটির চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠৈ এসেছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে লিন্ডে বাংলাদেশের বিক্রি বাবদ আয় হয়েছে ১২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানির বিক্রি বাবদ আয় কমেছে ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকা বা ৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ। আয় কমা সত্ত্বেও আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির উৎপাদন খরচ ১২ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

পাশাপাশি আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির পরিচালন ব্যয় ১০ দশমিক ১১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এসব ব্যয় বৃদ্ধির কারণে কোম্পানিটির নিট মুনাফায় বড় নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে।

চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে লিন্ডে বাংলাদেশের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৪ কোটি ৩ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে ১৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বা ৫৩ দশমিক ১০ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯ টাকা ২২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৯ টাকা ৬৫ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪০৬ টাকা ৬৫ পয়সায়।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৪২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে লিন্ডে বাংলাদেশের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫৮ টাকা ৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৮০ টাকা ৫৫ পয়সা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে প্রায় ২৮ শতাংশ। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৯৭ টাকা ৪৪ পয়সায়।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ৫৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে লিন্ডে বাংলাদেশ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮০ টাকা ৫৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭০ টাকা ৫৫ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৩৯৫ টাকা ৫৫ পয়সায়।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৪০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল লিন্ডে বাংলাদেশ। আগের হিসাব বছরের জন্য ৫০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।

বর্তমান লিন্ডে বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ অক্সিজেন কোম্পানি নামে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর অনুমোদিত মূলধন ২০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রির্জাভে রয়েছে ৫৮৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৫২ লাখ ১৮ হাজার ৩০০। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ রয়েছে উদ্যেক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৮ দশমিক ৮০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ১১ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ১ হাজার ৩৯৭ টাকা ৭০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটি ১ হাজার ৩৬৬ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১ হাজার ৫৫০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top